আনুষ্ঠানিকভাবে ফোর্বস সাময়িকীর বার্ষিক বিলিয়নেয়ার তালিকার শীর্ষ থেকে পিছিয়ে গেলেন ইলোন মাস্ক। সেই স্থানে এলেন এলভিএমএইচের চেয়ারম্যান বেহনা আহনোঁ।
টেসলা ও টুইটারের মালিক এখন দ্বিতীয় শীর্ষ বিলিয়নেয়ার, তার সম্পদের মূল্য আনুমানিক ১৮ হাজার কোটি ডলার। যা আগের বছরের তুলনায় তিন হাজার ৯০০ কোটি ডলার কম।
মাস্কের হারিয়ে ফেলা স্থানটি এখন ফরাসি বিলাসী পণ্য জায়ান্ট এলভিএমএইচের চেয়ারম্যান বেহনা আহনোঁর। তার মোট সম্পদ গত বছরে পাঁচ হাজার কোটি ডলার বেড়ে ২১ হাজার ১০০ কোটি ডলার হয়েছে।
অবশ্য মাস্কের অবস্থান হারানো অবাক হওয়ার মতো নয়। গত কয়েক মাস ধরে ফোর্বসের ‘রিয়েল-টাইম বিলিয়নেয়ার’ তালিকায় প্রায়শ আহনোঁর কাছে তাকে হারতে হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বার্ষিক এ তালিকা প্রকাশ করে ফোর্বস।
চার হাজার ৪০০ কোটি ডলারে টুইটার ক্রয়, টেসলার শেয়ার থেকে অর্থায়ন, বিনিয়োগকারীদের অনাস্থা মিলিয়ে মাস্কের সম্পদ কমেছে বলে সাময়িকীটি জানায়। টেসলা ওই বছর লোকসানের অনেকটা কাটিয়ে উঠলেও টুইটার কেনার আগের অবস্থান থেকে তা উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
মহাকাশ কোম্পানি স্পেসএক্স এই ধনকুবেরের জন্য আশীর্বাদ হয়েই ছিল। গত বছরে এক হাজার ৩০০ কোটি থেকে ১৪ হাজার কোটি ডলারে বেড়েছে।
অবশ্য অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস তালিকার যেকোনো বিলিয়নেয়ারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ হারিয়েছেন, পাঁচ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। তিনি আছেন তৃতীয় অবস্থানে। অ্যামাজনের শেয়ারে গত বছর ৪০ শতাংশ পতন হয়েছিল।
বেহনা আহনোঁ সম্পর্কে ফোর্বস বলছে, তার বিলাসী পণ্যগুলো রেকর্ড মুনাফা করেছে। এর মধ্যে আছে লুই ভুতোঁ, ক্রিশ্চিয়ান ডিওর ও টিফনি অ্যান্ড কোং। এলভিএমএইচের শেয়ার গত বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে।
ফোর্বসের এবারের তালিকায় মোট বিলিয়নেয়ারের সংখ্যা দুই হাজার ৬৪০ জন, যা আগের বছর ছিল দুই হাজার ৬৬৮ জন। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার পতন ঘটল।
ফোর্বসের সম্পদ বিষয় সিনিয়র সম্পাদক চেজ পিটারসন-উথর্ন বিবৃতিতে বলেন, গত ১২ মাসে তালিকার অর্ধেক বিলিয়নেয়ারের সম্পদ কমেছে। আবার অল্প কয়েকজন ভাগ্যবানের বেড়েছে অনেক।
গত বছরের তালিকায় থাকা ২৫০ জনেরও বেশি ধনকুবের এবার নেই। এর মধ্যে রয়েছেন গায়ক কেনি ওয়েস্ট, যিনি গত বছর অ্যাডিডাসের সঙ্গে চুক্তি হারিয়েছেন। নেই এফটিএক্স প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ব্যাঙ্কম্যান-ফ্রাইডও, যিনি একদিনে ৯৪ শতাংশ সম্পদ হারিয়েছেন।
বাবু/মম