মাছ বাজারে বেশ কয়েক দিন ধরে চিংড়িতে ওজন বাড়াতে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর জেলি মেশানো হচ্ছে।এমন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর শহরের সড়ক বাজারে অভিযান চালানো হয়।
তখন বেলা ঠিক ১১টা বাজে। মাছ বাজারে বিক্রেতারা নানা প্রজাতির মাছ নিয়ে বসে আসেন। ক্রেতাদের ও ছিল উপচে পড়া ভিড়। এরমধ্যে দুই বিক্রেতা জেলি মিশ্রিত চিংড়ি ও আফ্রিকান মাগুর মাছ বিক্রি করছেন। হঠাৎ বাজারে মৎস্য কর্মকর্তাদের দেখতে পেয়ে তারা মাছ ফেলে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
বুধবার (৫ এপ্রিল) সড়ক বাজার এলাকায় খুচরা মাছ বাজারে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা। এ সময় জেলি মিশ্রিত ১ কেজি চিংড়ি ও ৩ কেজি আফ্রিকান মাগুর মাছ জব্দ করা হয়। মাছ বিক্রেতারা দ্রুত পালিয়ে যাওয়ায় এসময় কাউকে তারা জরিমানা করতে পারেনি।
চিংড়ি মাছ
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশ কয়েক দিন ধরে খুচরা বাজারে ওইসব জেলি মিশ্রিত চিংড়ি ও আফ্রিকান মাগুর মাছ অবাধে বিক্রি হচ্ছে এমন অভিযোগে বাজারে অভিযান চালানো হয়। পরে জব্দকৃত ওইসব চিংড়ি মাছগুলো উপজেলা পরিষদ মৎস্য
অফিস সংলগ্ন স্থানে জনসম্মুখে কেরোসিন মিশিয়ে মাটিতে পুতে ধ্বংস করা হয়েছে। আর আফ্রিকান মাগুর মাছগুলো স্থানীয় একটি এতিম মাদরাসায় বিতরণ করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য সম্প্রসারণ মৎস্য কর্মকর্তা রওনক জাহান ও মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো: রেজাউল করিম। এ সময় ওই অফিসের অন্যান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন খুচরা মাছ বাজারে বেশ কয়েক দিন ধরে চিংড়িতে ওজন বাড়াতে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর জেলি মেশানো হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সড়ক বাজারে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দুই মাছ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে জেলি মিশ্রিত চিংড়ি ও আফ্রিকান মাগুর মাছ জব্দ করা হয়। পরে ওই জেলি মিশ্রিত চিংড়ি মাটিতে পুঁতে বিনষ্ট করা হয়েছে। আর আফ্রিকান মাগুর মাছগুলো স্থানীয় একটি এতিম খানায় দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।