শুক্রবার ১৫ আগস্ট ২০২৫ ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২
শুক্রবার ১৫ আগস্ট ২০২৫
নাটোরে সব আসন ধরে রাখতে চায় আ.লীগ
মো. মামুনুর রশীদ, নাটোর
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৩, ৪:২১ PM
নাটোর জেলায় চারটি সংসদীয় আসন রয়েছে। লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলা নিয়ে নাটোর-১, সদর ও নলডাঙ্গা উপজেলা নিয়ে নাটোর-২, বৃহত্তম চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়া উপজেলা নিয়ে নাটোর-৩ এবং গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলা নিয়ে গঠিত নাটোর-৪ আসন। চার আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৭৯৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৭ লাখ ৮৩ হাজার ৯৫৫ জন ও নারী ভোটার ৭ লাখ ৬৮ হাজার ৩৪ জন। 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের অন্যান্য জেলার মত এ জেলার চারটি আসনেই আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। বিভিন্নভাবে তারা ভোটারদের জানান দিচ্ছেন নিজেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসাবে। ইফতার মাহফিল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে জানান দিচ্ছেন যে, তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। তবে এবার আওয়ামী লীগের মনোয়নপ্রত্যাশীদের সংখ্যা অন্যান্য বারের চেয়ে বেশি বলে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। 

নাটোর-১ (লালপুর ও বাগাতিপাড়া) :

লালপুর ও বাগাতিপাড়া নিয়ে নাটোর-১ সংসদীয় আসন। এই আসন ছিল একসময় বিএনপির শক্তিশালী ঘাঁটি। এখান থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান পটল। তিনি মারা যাওয়ায় পর বিএনপির অবস্থানে ভাটা পড়ে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০১৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন পান জেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বকুল। পরপর এই দুই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার উন্নয়ন ও রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা মজবুত হয়। তবে এখানে দলের মধ্যে ত্রিমুখী কোন্দল বিরাজ করছে। অপরদিকে এ আসনটিতে বিএনপির কাণ্ডারী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে গত নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন প্রয়াত সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের সহধর্মির্ণী অধ্যক্ষ কামরুন নাহার শিরিন। বিএনপিকে এখানে গোছাতে কাজ করছেন তাদের ছেলে লালপুর থানা বিএনপি আহবায়ক ডা. ইয়াসির আরশাদ রাজন ও মেয়ে অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল। এই আসনের বাসিন্দা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুও এখানে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে কাজ করছেন। বাগাতিপাড়ার সাবেক পৌরমেয়র ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের নেতৃত্ব ছাড়াও বর্তমান পৌরমেয়র শরিফুল ইসলাম লেলিনের নেতৃত্বে আরেকটি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে।

এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশী যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বকুল, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য লেফটেনেন্ট কর্নেল (অব.) রমজান আলী সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনিসুর রহমান, লালপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইসহাক আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রয়াত সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মমতাজ উদ্দিনের ছেলে শামীম আহমেদ সাগর, উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহ্বায়ক সাবেক ব্যাংকার তাহাজ উদ্দিন, বাগাতিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল কুদ্দুস ও বাগাতিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসেন, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য সিলভিয়া পারভিন লেনি। অপরদিকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেনÑ বিএনপির সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের সহধর্মিণী ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ কামরুন নাহার শিরিন, তার ছেলে লালপুর থানা বিএনপি আহবায়ক ডা. ইয়াসির আরশাদ রাজন,  বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু ও বিএনপি নেতা গোপালপুর  সাবেক পৌরময়র মঞ্জুরুল ইসলাম বিমল। এছাড়া জেলা ওর্য়াকাস পার্টির সভাপতি আখচাষি নেতা ইব্রাহিম খলিলসহ আরো অনেকের নাম শোনা যাচ্ছে।

নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা) :

নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা নিয়ে গঠিত নাটোর-২ সংসদীয় আসন। স্বাধীনতার পর থেকে নাটোরে আওয়ামী লীগে শংকর গৌবিন্দ চৌধুরী একক নেতা হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তার সাথে দল নিয়ন্ত্রণ করেছেন। ফলে আওয়ামী লীগের ঘাটি হিসাবে পরিচিত ছিল নাটোর। তিনি নাটোরের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রিয় নেতা ছিলেন। ১৯৯১ সালে নির্বাচনের পর তিনি মারা যাওয়ায় উপনির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন তৎকালীন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। এরপরের প্রায় ১৫ বছর তিনি নাটোর সদর আসনে বিএনপির ব্যাপক জনপ্রিয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ফলে আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে দুর্গ গড়ে তোলেন বিএনপি। পরে ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দিন সেনা সরকারের সময়ে বিএনপি নেতা দুলুর বিরুদ্ধে অনেক মামলা হয় এবং দুটি মামলায় সাজা হওয়ায় তিনি আর নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেননি। এরপর থেকেই নাটোরে আবার আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থীরা এমপি নির্বাচিত হয়ে আসছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন আহাদ আলী সরকার। সে সময় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। পরে এ আসনটিতে পরপর দুইবার দলীয় মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তরুণ নেতা শফিকুল ইসলাম শিমুল। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকেরও দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনিই সদর ও নলডাঙ্গা আসনের সংসদ সদস্য আছেন। তাঁর সাথে বিএনপি নেতা সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর সহধর্মিণী এই আসনে গত দুই বার নির্বাচন করেছেন। আগামীতে দুলু এই আসনে নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। তবে আইনি জটিলতা থাকলে সেক্ষেত্রে তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ছবিই হবেন বিএনপির একক প্রার্থী। বর্তমান সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজানের মধ্যে চলছে ব্যাপক দ্বন্দ্ব। শুধু তাই নয় আগে থেকেই আলাদা দলীয় কর্মসূচি পালন করতেন এই দুই নেতা ও তাদের অনুসারীরা। 

এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে এবার মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন, দুইবার নির্বাচিত বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-নওগাঁ সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রত্না আহমেদ, সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি মো. আহাদ আলী সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান, জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি ও জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি ও দুইবার নির্বাচিত নাটোর পৌরমেয়র উমা চৌধুরী জলি, জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মালেক শেখ। অপরদিকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন-বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, তার সহধর্মিণী ও জেলা বিএনপির নেতা সাবিনা ইয়াসমিন ছবি। এছাড়া সদর আসন থেকে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাইবেন জেলা জাপার সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ড. মো. নূরন্নবী মৃধা। গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিপরীতে কাক্সিক্ষত ভোট পাওয়ায় দলের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। 

নাটোর-৩ (সিংড়া) :
সিংড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ ও একটি পৌরসভা নিয়ে অর্থাৎ বৃহত্তম একটি উপজেলা নিয়ে গঠিত নাটোর-৩ সংসদীয় আসন। এ আসনটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। তবে বর্তমানে জেলার সবচেয়ে বৃহৎ উপজেলা চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়ায় এখন প্রায় নেতৃত্ব শুন্য বিএনপি। নিজেদের মধ্যে রয়েছে চরম বিরোধ। এসবের সুযোগে নৌকা প্রতিক নিয়ে এই আসনে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হওয়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকটে জুনাইদ আহমেদ পলক নিজের নির্বাচনী এলাকায় গড়ে তুলেছেন তার পক্ষে মজবুত ভিত্তি। কমিটি না হওয়ায় বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ ও হতাশা। ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দিনের সেনা শাসনের পর ২০০৮ সালে প্রথমে এখানে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হানিফ আলী শেখকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। জেলা শহর থেকে প্রার্থী এনে মনোনয়ন দেওয়ায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রার্থী পরিবর্তন করে এলাকার তরুণ নেতা অ্যাডভোকটে জুনাইদ আহমেদ পলককে ঘোষণার জন্য ঢাকায় অবস্থানরত এলাকার শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে। পরে শেষ মুহূর্তে প্রার্থী পরিবর্তন করে অ্যাডভোকটে জুনাইদ আহমেদ পলকের নাম ঘোষণা করা হয়। সেসময় সর্বকনিষ্ঠ এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন পলক। এখন পর্যন্ত টানা তিনবার তিনি এই আসনে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। দায়িত্ব পেয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর। আওয়ামী লীগ থেকে সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক। বিএনপি থেকে সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক কাজী গোলাম মোর্শেদ, সিংড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনু, সিংড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. দাউদার মাহমুদ। 

নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম) :
গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম নিয়ে গঠিত নাটোর-৪ সংসদীয় আসন। এ আসনটি মুলত আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসাবে পরিচিত। স্বাধীনতার পর বেশির ভাগ সময় আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এই আসনে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দস। দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে মাঝে বিএনপি থেকে মোজাম্মেল হক সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে ফের আওয়ামী লীগের দখলে আসে এ আসনটি। তবে এখনও এই আসনে স্থানীয় দীর্ঘদিনের এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দসের সাথে দুই উপজেলা চেয়ারম্যান ও গুরুদাসপুর পৌরমেয়রের মধ্যে চরম বিরোধ বিরাজ করছে। আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে মনোনয়ন দৌড়ে তাদের মধ্যে বিরোধ আরো প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে।  এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, তার মেয়ে যুব-মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী কুহেলী কুদ্দুস মুক্তি, গুরুদাসপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌরমেয়র শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রতন সাহা, প্রয়াত এমপি রফিক সরকারের ছেলে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক আরিফ উদ্দিন সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আহাম্মদ আলী মোল্লা ও কৃষক লীগ নেতা আবদুল ওয়াহাব।

অপরদিকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুল আজিজ, গুরুদাসপুর পৌরমেয়র ও পৌর বিএনপির সভাপতি মশিউর রহমান বাবলু, সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মোজাম্মেল হকের ছেলে ব্যারিস্টার আবু হেনা মোস্তফা কামাল রঞ্জু, বড়াইগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র ইসহাক আলী, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক জন গোমেজ, বড়াইগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাদের মিয়া। এ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশী জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি আবুল কাসেম সরকার, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক ডিএম আলম। 

বাবু/জেএম
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


Also News   Subject:  নাটোর   আ.লীগ  







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত