জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে এক কোটি ৬ লাখ ১৩ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করায় বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতি দমন কমিশন বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ে বুধবার এই মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. তারিকুর রহমান।
দুলুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহল থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারী তার সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ দেয়া হয়। তিনি ওই বছরের ২৫ জুলাই তার সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। দুলুর দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে দেখা যায়, তার স্থাবর-অস্থাবর মিলে সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৯২ লাখ ৫২ হাজার ২৬৯ টাকা। কিন্তু যাচাইকালে আওয়ামী লীগের এই নেতার স্থাবর-অস্থাবর মিলে সম্পদ পাওয়া যায় ৩ কোটি ৭২ লাখ ৭৭ হাজার ২০৯ টাকার। তার পারিবারিক ঋণ ও খরচ বাদ দিলে দুলুর মোট সম্পদের পরিমাণ দাড়ায় ২ কোটি ৭১ লাখ ৫২ হাজার ৩৬ টাকা। এই হিসেবে দুলু জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে ১ কোটি ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৯০ টাকার সম্পদ ভোগ-দখলে রেখেছেন।
মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মো. তারিকুর রহমান জানান, আওয়ামী লীগ নেতা দুলু অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ সালের ২৬ এর (২) ও ২৭ এর (১) ধারায় মামলা করা হয়েছে। দুলু তার সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য, আয়ের উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে স্থানান্তর ও রূপান্তর করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (৩) (২) ধারায় অপরাধ করেছেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলু বলেন, সম্পদ বিবরণীতে আমি আমার সব তথ্য জানিয়েছি। আমার তথ্য গোপন করার কিছু নেই। দুদক যে তদন্ত করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ভুয়া তথ্যের ভিত্তি করে দুদক আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আমি আইনিভাবে লড়াই করবো।
বাবু/জেএম