পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের পানখালী এলাকায় চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত প্রধান আসামিকে ১৭ বছর পরে গ্রেফতার করেছে গলাচিপা থানা পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পানখালী এলাকায় জমিজমা সংক্রান্ত জেরে ২০০৬ সালের ৮ই জানুয়ারি সুলতান খান হত্যা হয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৬টায় বাজার থেকে ফেরার পথে জাফর প্যাদা ও তার সাথে থাকা লোকজন মিলে নূর হাওলাদারের বাড়ির সামনে বসে সুলতান খানকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে গলাচিপা হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ১১ জনের নামে অজ্ঞাত লোকদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অনেক কাটখড় পুরিয়ে তখন পুলিশ ও সি আই ডি এর তদন্তে আদালত থেকে ১০ জনকে খালাস দেওয়া হয়। এই মামলায় তখন প্রধান আসামী জাফর প্যাদা ১৬৪ ধারায় অপরাধ শিকার করে জবানবন্দি দেয়।
তবে মৃত্যুর আগে মো. সুলতান খান নিজ মুখে বলে যান জাফর প্যাদা তাকে হত্যার করার জন্যই হামলা চালায়। প্রধান আসামি জাফর প্যাদা জামিন নিয়ে আসলেও আর আদালতে হাজির হয়নি। এসব ঘটনার পরে ১৭ বছর পরে গত ৭ই এপ্রিল ২০২৩ শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এজাহার ভুক্ত আসামি জাফর প্যাদাকে গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশে চৌকস পুলিশ ফোর্স গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ভুক্তভোগী পরিবার বলেন, জাফর প্যাদাসহ আরও অনেকে মিলে সুলতান খানকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে মামলার প্রধান আসামি জাফর প্যাদা ছাড়া সবাই খালাস পাইছে।
আজ বহু বছর পরে প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে গলাচিপা থানা পুলিশ এতে আমরা খুশি। তবে সরকারের কাছে আমাদের আকুল আবেদন আসামির ফাঁসি দেওয়া হোক। এ বিষয়ে গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ শোনিত কুমার গায়েন বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এজাহার ভুক্ত হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতার করেছি। আদালতে প্রেরণ করবো এবং আইন তার সঠিক বিচার করবে।
বাবু/জেএম