বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সরকারি কাজে ইউরোপ সফররত তথ্যমন্ত্রী শোকবার্তায় একাত্তরে ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, জাতীয় ওষুধ নীতি প্রণয়ন ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তুলে কম খরচে দরিদ্রদের চিকিৎসাসেবায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অবদানের কথা স্মরণ করেন। এ ছাড়া তিনি ডা. জাফরুল্লাহর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
ডা. জাফরুল্লাহ গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। এর মধ্য দিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। এ ছাড়া কয়েক দিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গত ৫ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। এরপর গত রোববার তার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এর প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন ডা. মামুন মোস্তাফী। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত সোমবার সকালে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা শোক জানিয়েছেন। তারা হলেন—জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের, ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের নেতা সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, সৈয়দ এহসানুল হুদা, শাহাদাত হোসেন সেলিম, গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, বিকল্পধারার অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, বাংলাদেশ ন্যাপের এমএন শাওন সাদেকী, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বারিক প্রমুখ।
বাবু/পিকু