বেনাপোল পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড ভবেরবেড় স্টেশন রোডের মুখে অবস্থিত মৃত আব্দুল গনি হাজীর ৫ তলা বিল্ডিংটি ঝুঁকিপূর্ণ বলে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) ঘটনাস্থল থেকে জানা যায়, বেনাপোলের বিশিষ্ট সি এন্ড এফ এজেন্ট ব্যবসায়ি মৃত আব্দুল গনি হাজীর ১ম স্ত্রীর এক মাত্র কন্যা নাসিমা বেগম জানান, আমার পিতা মৃত আব্দুল গনির মৃত্যুর পর থেকে আমার সৎ ভাই আমিনুর রহমান ঝন্টু আমার এবং আমার মায়ের উপর নানান ভাবে অত্যচার চালাচ্ছে। শুধু মাত্র আমার পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি থেকে বেদখল করার জন্য।
আমার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত বেনাপোলে স্বনামধন্য সি এন্ড এফ লাইসেন্স মেসার্স গনি এন্ড সন্স, বেনাপোল বাজারে অবস্থিত ৫ তলা বিল্ডিং এবং মাঠান জমির কোন অংশীদারিত্ব দিচ্ছিলো না। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মাঝে আপোষ হয়, মেসার্স গনি এন্ড সন্স নামিয় সি এন্ড এফ লাইসেন্সটি আমার মা এবং আমি আমার সৎ ভাই আমিনুর রহমান ঝন্টুর নামে লিখে দিলে বিল্ডিং এবং মাঠান জমিতে ভোগদখল করতে পারব। আমার বৃদ্ধ মা মনোয়ারা বেগম এবং আমি অসহায় বিধায় আমার সৎ ভাই প্রভাবশালী আমিনুর রহমান ঝন্টুর কথায় রাজি হয়ে প্রস্তাব মেনে নেয়। এবং লাইসেন্সটি লিখে দেয়।
তারপর থেকেই আমার পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বিতাড়িত করতে চলছে নানা ধরনের পায়তারা। সর্বশেষ গত ২৪ এপ্রিল আমিনুর রহমান ঝন্টু আমার পৈত্রিক ভবন এর ৫ম তলার ছাদ ভাঙ্গার জন্য প্রচেষ্টা করলে আমি এবং আমার মেয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার সহায়তা কামনা করলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ভূঁইয়া স্থানীয় বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগ এর সভাপতি আলহাজ্ব এনামুল হক মুকুল, শার্শা উপজেলা বাস্তহারা লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলীসহ গণ্যমাণ্য ব্যাক্তিবর্গকে থানায় ডেকে নির্দেশনা দেন। বিষয়টি একত্রে বসে বন্টননামা করে দিতে।
সেই মোতাবেক আমিনুর রহমান ঝন্টু তার মাতা ও বোনকে তাদের প্রাপ্য অংশ (৩য় তলার ২ টি ফ্লাট ও ২টি দোকান) ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্টাম্পে (বন্টননামা) লিখে দিবেন। বন্টননামা খসড়ার পরপরই শুরু হয় নতুন নাটক। ১দিন না যেতেই আমার সৎ ভাই আমিনুর রহমান ঝন্টুর মামা আমাদের বাড়ির পাশের বিল্ডিং এর মালিক কালু বিহারি ও জাহাঙ্গীর বিহারিকে দিয়ে বেনাপোল পৌরসভায় আমাদের ৫ম তলা বিল্ডিং ঝুঁকিপূর্ণ মর্মে মিথ্যা অভিযোগ করান, যা খুবই নিন্দানিয়। মৃত আব্দুল গনি হাজীর ১ম স্ত্রীর কন্যা নাসিমা বেগম আরও জানান, শুধুমাত্র আমার এবং আমার মাকে আমার পিতার সম্পত্তি থেকে মালিকানা না দেওয়ার জন্য আমার প্রভাবশালী ভাই এই সব নাটকে মেতেছেন। আমি সাংবাদিক ও প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি আমার অসুস্থ মা এবং আমাকে আমার পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি বুঝিয়ে দিতে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাড়ির মালিক জানান, মৃত গনি হাজীর বাড়ির পশ্চিম পাশে সরকারি জায়গায় পূর্বে মিরাজ ডাক্তারের বিল্ডিং ছিলো যেটা রেলওয়ের জমিতে পড়ার কারণে উচ্ছেদ হওয়ায় গনি হাজীর বিল্ডিং অপসারন হওয়া সে অংশে প্লেষ্টার না থাকার কারণে ওই জায়গায় ছবি দিয়ে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার চালাচ্ছে।
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, গত ২৪ তারিখে ভবেরবেড় স্টেশনস্থ পারিবারিক বিল্ডিংয়ের বিষয় নিয়ে মুঠোফোনে আমাকে একটি অভিযোগ জানালে আমি তাদের থানায় ডেকে গ্রামের গণ্যমাণ্য ব্যাক্তি বর্গের সাথে বসে মিটিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলাম। তারা দুই পক্ষ আমাকে নিজেরা বিষয়টি মিটিয়ে নিবেন বলে আশ্বস্ত করে ছিলেন, পরবর্তীতে কী হয়েছে আমি জানি না।
বাবু/জেএম