গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা উনার বক্তব্যে প্রাথমিকভাবে অত্যন্ত সন্তুষ্ট।
আজ রোববার ইসির সভাকক্ষে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান করেন আজমত উল্লা। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। বিকেল তিনটার দিকে নির্বাচন ভবনে সিইসি ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের উপস্থিতিতে আজমত উল্লা খানের বক্তব্য নেওয়া হয়। আধা ঘণ্টা ধরে এ শোকজের বক্তব্য শুনে সিইসি সাংবাদিকদের ব্রিফিং করে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। উনি অত্যন্ত চমৎকারভাবে, অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। উনি বিশ্বাস করেন, আগামীতে এ ধরনের ভুল হবে না। তবে কিছু কিছু ভুল অজ্ঞতাবশত হয়েছে। উনি বলেছেন যে, দু-একটা সভা হয়েছে উনারা ডিসি এবং কমিশনারের অনুমতি নিয়ে সিটি করপোরেশনের বাইরে করেছেন। বিধি ৫ ধারার যে বিধানটা, উনি বলেছেন যে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টা নিয়ে ইয়ে (অবগত) ছিলেন না।
সিইসি বলেন, শোডাউনটাকে আমরা বড় করে দেখেছিলাম। এ বিষয়ে উনি বলেছেন যে, সেদিন মনোনয়নপত্র সাবমিট করার ব্যাপার ছিল। বেশ কিছু সংখ্যক কাউন্সিলর, তারা একই সঙ্গে দলবল নিয়ে এসেছেন। এজন্য বড় ধরনের এটা শোডাউনের মতো মনে হয়েছে। আমরা উনার বক্তব্যে প্রাথমিকভাবে অত্যন্ত সন্তুষ্ট। উনি সুন্দরভাবে আমাদের সঙ্গে কো-অপারেটিভ করার এবং নির্বাচনী আচরণবিধি যাতে ভবিষ্যতে প্রতিপালিত হয়, অনুশ্রিত হয় সেটি সর্বতভাবে উনি চেষ্টা করবেন। আমরা যেটা শোকজ করেছি, উনি উনার বক্তব্যটা দিয়েছেন।
সন্তুষ্ট হয়েছেন বললেন, তাহলে কি ক্ষমা করে দিলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমরা এখানে বলেছি, এখনো আমরা কমিশন কোনো সিদ্ধান্ত নিই নাই। কিন্তু উনি উনার বক্তব্য সুন্দরভাবে দিয়েছেন।
এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমার সময় শোডাউন করা এবং প্রার্থীর পক্ষে স্থানীয় সংসদ সদস্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীদের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নৌকার এ প্রার্থীকে কমিশনে তলব করা হয় এবং কেন প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটিতে ভোগগ্রহণ হবে।