সরকারবিরোধী চলমান যুগপৎ আন্দোলন প্রসঙ্গে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। জেলা সমাবেশের মাধ্যমে এই আন্দোলন যৌক্তিক পরিণতির দিকে ধাবিত হবে।
আজ সোমবার বিকেলে ময়মনসিংহ বিএনপি কার্যালয়ে বিভাগের জেলা ও মহানগর শাখার নেতাদের সমন্বয়ে আন্দোলনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রিন্স বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের সেবক নয়, শোষক হিসেবে কাজ করছে। দুর্নীতি, লুটপাট করে দেশকে ফোকলা করে দিয়েছে। সরকারের ব্যর্থতায় তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। লোডশেডিংয়ে জীবনযাত্রা বিপন্ন। জনগণের সেবক হলে সরকার দুঃসময়ে জনগণের পাশে থাকত। সরকার জনদুর্ভোগের মাধ্যমে দুঃসময় ও দুঃশাসন সৃষ্টি করেছে। এর মধ্য দিয়ে সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
প্রস্তুতি সভায় বিভাগের অন্তর্গত ময়মনসিংহ উত্তর, দক্ষিণ, মহানগর এবং জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা জেলা বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এতে বক্তব্য দেন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুন, শরীফুল আলম, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম হিলালী, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু, আলমগীর মাহমুদ আলম, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. মোফাখখারুল ইসলাম রানা, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাইল মিয়া, নাজমুল আলম, আমিনুল ইসলাম আশফাক, নেত্রকোনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান দুদু প্রমুখ।
এর আগে বিএনপির সাংগঠনিক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদকরা শেরপুরে জেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভায় যোগ দেন। শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রশিদ পলাশ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
ওয়ারেস আলী মামুন বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভয় পায় বলেই তারা আবারও সাজানো-পাতানো নির্বাচন করতে ষড়যন্ত্র করছে। জনগণকে সাথে নিয়ে এই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিতে হবে।
শরীফুল আলম বলেন, দেশে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের জন্য সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট দায়ী। সঙ্কট উত্তোরণে আন্দোলনে এই সরকারকে বিদায় করে সুষ্ঠু নির্বাচনে দেশে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বাবু/মম