শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ ২৮ আষাঢ় ১৪৩২
শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে বিচারিক কার্যক্রম
রাশেদুল ইসলাম, কক্সবাজার
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩, ১১:৫০ PM
কক্সবাজারের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতিনিয়তই বাড়ছে ঝুঁকি। দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখন চলছে আদালতের বিচারিক কার্যক্রম। যে কোন সময় দুর্ঘটনার উদ্বেগ উৎকন্ঠা সংশ্লিষ্টদের। চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কক্সবাজার সদর কোর্ট ও সংশ্লিষ্টবিভাগসমূহ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। 

দীর্ঘদিন থেকে জরাজীর্ণ ও পিলারে ফাঁটল ধরা ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির কার্যক্রম। নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন আইনজীবী ও বিচার প্রার্থীরা। এতে ভবন ধসে যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন উপকারভোগীরা।

মঙ্গলবার (৩০ মে) সকাল ৯টার দিকে ছাদের ৩টি অংশে পলেস্তারা ভেঙ্গে পড়ে। তবে কেউ আহত না হলেও ঘটনা দেখে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এর আগেও বেশ কয়েকবার পলেস্তার খসে পড়ার ঘটনা ঘটে।

চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হিসাব রক্ষক রোকন উদ্দীন বাংলাদেশ বুলেটিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷

তিনি বলেন, ১৯৫২ সালে ভবনটি করেছে গণপূর্ত বিভাগ। সেই থেকে এখনো কোন সংস্কার নেই। প্রায় সব পিলারে ফাঁটল ধরেছে।

রোখন উদ্দীন বলেন, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের আরও কয়েক জায়গায় ফাঁটল ধরেছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৫২ সালে তৎকালীন সরকার মুনছেপ আদালত পরিচালনার জন্য বড়লেখায় আদালত ভবন নির্মাণ করে। পরবর্তীতে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কক্সবাজার সদর কোর্ট ও সংশ্লিষ্টবিভাগসমূহ নিয়ে কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হয়।

ইতোপূর্বে জরাজীর্ণ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কক্সবাজার সদর কোর্ট ও সংশ্লিষ্টবিভাগসমূহে ভবনের ছাদের ও দেয়ালের আস্তর খসে অনেকের ওপর পড়েছে। এমনকি এজলাসে বিচারকার্য চলাকালীন ছাদের আস্তর খসে খোয়া বের হয়ে ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এমন ঘটনার পর থেকেই আদালতের স্টাফ, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা রয়েছেন আতঙ্কে।

জরাজীর্ণ ব্যবহার অনুপযোগী অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে রয়েছে আদালতের এজলাস, খাস কামড়া, এপিপি কক্ষ, জিআরও কক্ষ, পুরুষ ও মহিলা হাজতখানা। অরক্ষিত নষ্ট হওয়ার পথে বিভিন্ন বিচারাধীন মামলার জব্দকৃত আলামত। দেয়াল ও ছাদের বিভিন্ন স্থানের পলেস্তোর খসে পড়েছে। বৃষ্টি হলেই ছাদ চুয়ে পড়ে পানি। ভবন সংকটে মহিলা হাজতখানায় বাস করেন আদালতের স্টাফ ও পুলিশ সদস্যরা।

সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান জানান, ডেমেজ ভবনে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে চলছে বিচারিক কার্যক্রম। খুবই ঝুঁকি নিয়ে আমরা আদালতে আসি৷

এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অবগত করেছি। তারা কি ব্যবস্থা নেয় দেখি৷

বাবু/জেএম 
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত