নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলায় যে কয়েকজন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাধারণ মানুষের হৃদয়ে দাগ কেটেছে তাদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম অন্যতম। তিনি সব রকম পরিস্থিতিতে সবসময়ই প্রস্তুত থাকেন। তিনি পূর্বধলায় যোগদানের পরে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি পূর্বধলার একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়েছেন। করোনা পরিস্থিতির অবনতি ও লকডাউনের মাঝেও তিনি অসহায় মানুষের পাশে ছুটে গিয়ে দাড়িয়েছেন। প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের দুঃখ লাগবে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনে তার আগ্রগামী চিন্তার সুফল হিসেবে পূর্বধলায় করোনার প্রকোপ ছিলো খুবই কম।
উপজেলাবাসীর বিভিন্ন উন্নয়নেও রেখেছেন অনন্য ভূঁমিকা। তাঁর স্পষ্টবাদিতা ও সততায় কিছু মুষ্টিমেয় লোকের স্বার্থ নষ্ট হলেও এলাকার আপামর জনগণ আছেন স্বস্তিতে, এমন একজন যোগ্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে কাছে পেয়ে তারা যেনো স্বস্তি ফিরে পান। সাইফুল ইসলাম এমন একজন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা যিনি তার উপর অর্পিত কর্মকে ধর্মের ন্যায় পালন করে থাকেন। তার নেই কোন ক্লান্তি বা বিশ্রামের ভাবনা। তার চিন্তা ও চেতনায় শুধু মানুষের সেবা করা।
জানা যায়, পূর্বধলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসাবে সততার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। যোগদানের পড়েই বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ ও মানবিক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার নাম ছড়িয়ে পরে। মানবিক বিভিন্ন কাজের জন্য খুব অল্প দিনের মধ্যেই জায়গা করে নেন সাধারণ মানুষের অন্তরে।
উপজেলার সাধারণ মানুষের মাধ্যমে জানা যায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম একজন সৎ, দক্ষ ও নিষ্ঠাবান ব্যাক্তি।
যে কেউ তাদের সমস্যা নিয়ে তার কাছে গিয়ে অনায়াসেই সেবা গ্রহণ করতে পারে। এছাড়াও উপজেলার কেউ কোন দুস্থ ও অসহায় লোককে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাহায্যের আবেদন জানালে ও তাকে অবহিত করলে তাৎক্ষণিক তিনি তার খোঁজ-খবর নিয়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তার মাধ্যমে উপজেলার সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীরা তাদের অধিকার ফিরে পেয়েছে ও সরকারি সকল সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছে। সাইফুল ইসলামকে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও পূর্বধলা উপজেলায় যাও, এই শিরোনামে একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে নজরে আসে সকলের।
পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্সকে নিয়ে তিনি প্রতিদিন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে সেখানে ছুটে যান। এছাড়াও এই উপজেলায় অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছে তাদের দেখে দেখে দেওয়া হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার।
এছাড়া, পূর্বধলায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক বৃদ্ধার পায়ে পচন ধরলে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সহযোগিতায় তাকে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন তিনি। পূর্বধলায় সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে অনেক মানুষের ঘর দেওয়া হয়েছে অনেক ধরনের সহায়তা করেন পূর্বধলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। পূর্বধলায় মানসিক ভারসাম্যহীনদের মাঝে খাদ্য বিতরণসহ, অনেক ভালো কাজের মাধ্যমে তিনি মানবিক অফিসার হিসেবে উপজেলার সাধারণ মানুষের মাঝে জায়গা করে নিয়েছেন।
এই বিষয়ে পূর্বধলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, তায়িবার বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকরা আমাদেরকে জানায়। বিষয়টি আমাদেরকে অত্যান্ত হতাশ করে। আমি ইউএনও স্যারকে নিয়ে তাদের ভালোভাবে থাকার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে মানবিক পোস্টগুলো আমাদের নজরে আসে সেগুলো আমরা সাথে সাথে খোঁজ নিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করি। মফস্বলে অনেক মানুষের খোঁজ আমাদের অজানা তাই মফস্বলের কোন তথ্য পেলেই সে বিষয়গুলো আমি গুরুত্ব সহকারে দেখি ও সমাধান করার চেষ্টা করি। তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারের দায়িত্ব পালন করতে এসেছি। তাই আমি আমার সাধ্য মতো চেষ্টা করি ভালো কিছু করার।
বাবু/জেএম