একদিকে প্রচন্ড খরতাপ অন্যদিক বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে নেত্রকোনা জেলার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। ঘন্টায় ঘন্টায় বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার লুকোচুরি খেলায় চরম বেকায়দায় পড়েছেন এই জেলার মানুষজন। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছেন আত্মর্জাতিক বাজারে গ্যাস ও তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে খানিকটা ব্যাহত হচ্ছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই নেত্রকোনা জেলায় এমন প্রচন্ড খরতাপ বিরাজ করছে। এ কারণে ভ্যাপসা গরমে মানুষের জীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। অপরদিকে গত কয়েকদিন ধরে বাড়ছে লোডশেডিং। ঘন্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং এর কারণে মিল কারখানায় ঠিকমতো কাজ পরিচালিত হচ্ছে না।। শ্রমিকরা কাজে আসলেও বিদ্যুতের অভাবে শ্রমিকদের বসে থাকতে হচ্ছে। অপরদিকে সন্ধ্যার পর এ অবস্থা আরো কঠিন আকার ধারণ করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৮ থেকে ১০ ঘন্টায় বিদ্যুৎ থাকে না। শিক্ষার্থীরা যেমন লেখাপড়া করতে পারছে না তেমনি বয়স্ক লোকজন প্রচন্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
পল্লী বিদ্যুতের বিদ্যুৎ সরবরাহে চলছে চরম ভেলকিবাজি। বেশ কিছুদিন ধরেই চলে এমন ভেলকিবাজি। বিশেষ করে গত কয়েদিন ঘনঘন লোডশেডিংয়ে ও প্রচন্ড-গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার ছোট-বড় বয়ষ্ক শ্রমজীবী মানুষ। দিন রাত এ লোডশেডিংয়ে জেলা উপজলা শহরসহ গ্রাম অঞ্চলের শিশু ও বৃদ্ধ মানুষ অসহ্য যন্ত্রণায় রয়েছে।
মধ্যরাতের লোডশেডিংয়ে প্রচন্ড গরমে ঘরে ঘরে শোনা যায় শিশুদের কান্নার আওয়াজ। এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সষ্টি হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, আত্মর্জাতিক বাজারে গ্যাস ও তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে খানিকটা ব্যাহত হচ্ছে।
জেলা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. কিবরিয়া চৌধুরী হেলিম বলেন, এত লোডশেডিং আর ভালো লাগে না গরমে ছোট বাচ্চা ও বয়স্ক লোকদের কষ্ট আর দেখে ভালো লাগছে না।
জেলা পিডিবির কর্তৃপক্ষ বলছেন-নেত্রকোনা পৌরসভার মধ্যে রাত ও দিন ৩১ মেগাওয়ার্ট করে বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও তা পাওয়া যাচ্ছে না। চাহিদা মেটাতে ৩৫% লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। অপরদিকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপক্ষ বলছেন, জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ৫০ মেগাওয়াট। সরবরাহ মিলছে মাত্র ৩০ মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কম পাওয়ায় লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জি এম) প্রকৌশলী বিপ্লব কুমার সরকার, দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হবে।
বাবু/জেএম