লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা সরকারি আলিমুদ্দিন কলেজের জীব বিজ্ঞান প্রভাষক তাসনিম আরা মীম কর্তৃক ফারিয়া ফানসাব রিসা প্রাইভেট না পড়ায় গালিগালাজের ঘটনাটি মিথ্যা।
শিক্ষিকা কর্তৃক ছাত্রীকে গালিগালাজ মিথ্যা দাবি করে প্রায় ৪০ জন ছাত্র/ছাত্রী হাতিবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
যা হুবহু তুলে ধরা হলো, গত ১ জুন ২০২৩ ইং তারিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেকবুকের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি, সরকারি আলিমুদ্দিন কলেজের প্রভাষক তাসনিম আরা মীম (প্রাণীবিদ্যা) ও জনাব কাওলাদ হোসেন এর বিরুদ্ধে আপনার দফতরে অভিযোগ করা হয়েছে। যা ছিল মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারী ছাত্র/ছাত্রীগণ এই মর্মে স্বাক্ষ্য দিচ্ছি যে, গত ২৯/০৫/২০২৩ইং সকাল ৮.০০-৯.০০ জনাব তাসনিম আরা মিমের বাসায় কলেজ সময়ের বাইরে নিয়মিত পড়ার অংশ হিসেবে পড়তে গিয়েছিলাম। বিভিন্ন ছুটি ও পরিক্ষার কারণে ক্লাসে আমাদের সিলেবাস মেকাপ হয় না বিধায় অসম্পূর্ণ অংশটুকু নাম মাত্র বেতনে আবার অনেকে ফ্রিতে স্যার ও ম্যাডামের কাছে পড়ি। আমাদের কাছে অভিযোগকারীর ছোট বোন ফারিয়া ফানসাব রিসা নামের এক সহপাঠী পড়ে। সেদিনও সে পুরো সময়টা আমাদের সাথে পড়েছিল। ক্লাস চলাকালীন মেডাম তাকে কোন প্রকার কটু কথা,অসৌজন্যমূলক আচরণ, অপমান, স্যারের কাছে পড়ার ব্যাপারে কোন কথা কিংবা প্রাইভেট রুম থেকে বের করে দেওয়ার মত কোন ঘটনা ঘটেনি। সে সুপরিকল্পিতভাবে বা কারো ইন্ধনে স্যার ও ম্যাডামকে হেয় পতিপন্ন করার জন্য এ মিথ্যা অভিযোগ করেছে। আমরা তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই এবং এর শাস্তির দাবি জানাই।

উল্লেখ্য, ২৯ মে রিয়াদ হাসান হাতিবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন, সেই অভিযোগে তিনি বলেন, আমার বোন ফারিয়া ফানসাব রিসা বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। একই কলেজের প্রভাষক তাসনীম আরা মীমের কাছে জীব বিজ্ঞান প্রাইভেট পড়ে। তার স্বামী কাওলাদ হোসেন গণিত প্রভাষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করে। কিছুদিন পরে আমি বুঝতে পারি আমার বোন গণিতে দুর্বল। তাই আমি প্রাইভেট পড়তে নিষেধ করি।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাসনীম আরা মীম আমার বোনকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে ক্লাস থেকে বের করে দেন। এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।
বাবু/জেএম