কোরবানি ঈদের এক মাস আগেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে বাজারে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ প্রায় ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছরই পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল করে তোলেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। যদিও বিক্রেতাদের অভিযোগ, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না হওয়ায় দাম বাড়ছে।
রোববার (৪ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর, ফকিরাপুল, মালিবাগ বাজার, মালিবাগ রেলগেট বাজার, খিলগাঁও বাজার এবং এসব এলাকার খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁয়াজ (দেশি কিং) বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এছাড়া দেশি (পাবনা) বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা কেজি। দেশি ও চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা প্রতি কেজি।
তথ্যমতে, রমজানে পেঁয়াজ ৩৫ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন তা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। সবশেষ দুদিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। রোববার বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রতি বছরই ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেন। দুদিন আগে ৮০ টাকায় কিনলেও আজ বিক্রেতারা ৯৫ টাকা চাইছেন।
কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চলতি বছরের ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজের আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) বন্ধ করে দেয় সরকার। ফলে পরদিন ১৬ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে দাম বাড়তে থাকে পেঁয়াজের।
ফকিরাপুল বাজারের বাজারের খুচরা বিক্রেতা তানভীর জানান, পাইকারিতে দাম কমলে খুচরায়ও কমে যায়। তবে, বর্তমানে যেভাবে দাম বাড়ছে, এভাবে চলতে থাকলে ঈদের আগেই পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা পার হতে পারে। আমদানির মাধ্যমে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
-বাবু/ সাদরিনা