বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ১৯ মিনিটের ভাষণে এক আঙুল হেলেনের মাধ্যমে একত্রিত করেছিলেন ৭ কোটি বাঙালিকে। একটি কথা আছে ইতিহাসে এরকম কথা আছে ব্যাঙ আর বাঙালিকে একত্রিত করা যায় না। তাজা ব্যাঙ যেমন মাপা যায় না তেমনি বাঙালিকেও এক করা যায় না।
কিন্তু মুজিব জাতীর পিতা প্রমাণ করেছেন এক আঙুল হেলেনের মাধ্যমে সমগ্রজাকি ৭ কোটি বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এবং নিরস্ত্র নিরিহ বাঙালি সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে এ বাংলার ভূখণ্ড ৩০ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়েছেন। ২ লাখ মা-বোন সঙ্গম হারিয়েছেন। কিন্তু বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ নামক একটি দেশ উদ্ভুদয় হয়েছে। একটি ভৌগলিক সীমারেখা স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছে। যেখানে একটি জাতীয় সংগীত একটি জাতীয় পতাকা সব মিলিয়ে আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশ পেয়েছি।
১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্যে দিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আজ থেকে প্রায় ৫৩ বছর আগে, আমরা সেই জাতি। আজ যে মূহুর্তে আপনাদের সাথে কথা বলছি এই মুহুর্তে আমাদের কাছে সব থেকে বড় প্রশ্ন আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। যে নির্বাচনে পাকিস্তানি ভাবাপন্ন ও পাকিস্তানির দোসর যারা এ দেশে ৭১এ মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে, বিরুদ্ধচারণ করেছে। রাজাকার আল-বদর আল-সামস্ আলবদর বাহিনী সৃষ্টি করেছে। আমাদের মুক্তিবাহিনীকে ও মুক্তিসংগ্রামকে বাধাগ্রস্ত করেছে। অন্যদিকে পাকবাহিনীর নির্যাতন, নারী নির্যাতন গণহত্যা এইসব জ্বালীয়া চালানোর পরেও আমরা বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ ছিলাম বলেই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশকে আমরা মাথায় নিয়ে, যার যা আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। সেই কথাকেই নির্দেশ হিসাবে অমরবাণী হিসাবে আই জাতী গ্রহণ করে লড়াইয়ের মাধ্য দিয়ে এই স্বাধীনতা অর্জন করেছি।
সেই স্বাধীনতার স্বাদকে আমরা যে জয় বাংলা বলি, আর যারা জিন্দাবাদ বলে। আমরা পাকিস্তন আমলে এই শ্লোগান শুনেছি। পাকিস্তান জিন্দাবাদ, অমুক জিন্দাবাদ। আমরা সেই জিন্দাবাদকে বিতারিত করেছি। আবারও সেই জিন্দাবাদ বলার মানুষ নির্বাচনের নামে তৈরি করেছে। এই নির্বাচনের নামে তথাকথিত সংবিধান বিরোধী, একটি অসংবিধানিক সরকারের দাবি অন্যায় দাবি তারা করে যাচ্ছে। যে দাবি উদ্দেশ্য ঘোলা পানিতে মৎস শিকার । এই দাবি যে বাস্তবায়নের সংবিধানে বাস্তবায়নের সুযোগ নেই তারা জানেন। জানার পরেও তারা কেন এমন করছেন? শুধুমাত্র একটি অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশে ও বিদেশে ষরযন্ত্র চলছে। এবারের যে দ্বাদশ নির্বাচনে ব্যালট যুদ্ধ হবে ,সেই ব্যালট যুদ্ধে এই জিন্দাবাদবাহিনী, পাকিস্তানী রাজনীতি এবং ভাবদ্বারা যারা সমর্তক তাদের মূল উৎপাটন করতে হবে।
আজ ঐতিহাসিক ৭ই জুনে আমি এই সমগ্র নির্বাচনীয় এলাকায় যে র্যালি করেছি, এই র্যালির প্রথম উদ্দেশ্য হল জাতিকে জানান দেওয়া যে আওয়ামী লীগ জনগণের ওপর নির্ভরশীল এবং জনগণের নির্ভর করেই এই সংগঠন চলে। এই সংগঠন কোন বিদেশি শক্তির ইশারা ইঙ্গিতে চলে না। এই দলটি বঙ্গবন্ধু করেছিলেন জনগণের ওপর নির্ভর করে। নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগ সৃষ্টি করেন। আমরা সেই আ.লীগের কর্মী হিসাবে একজন ক্ষুদ্রকর্মী হিসাবে আমার নৈতিক দায়িত্ব এই সময়ে আমার নির্বাচনীয় এলাকার মানুষকে জাগ্রত করা। আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করার লক্ষে তাদের জাগ্রত করা। আগামী নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি মনে করেন আমাকে দিয়ে এই আসনটি রক্ষা হবে, তাহলে আমাকেই মনোনয়ন দিবেন। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পাবনা জেলার সহ-সভাপতি। আমি আমৃত্যু আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করে যেতে চাই। মনোনয়নের বিষয়ে তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন তৃণমূল পর্যায়ে জরিপের মাধ্যমে এবার মনোনয়ন দেবেন। নেত্রীর জরিপে যে নৌকার মাঝি হবে আমি তার পক্ষেই কাজ করব। আর আমার নির্বাচনীয় এলাকায় নৌকাকে বিজয়ী করতে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছি।
বুধবার (৭ জুন) দুপুরে ৭ই জুন, ছয় দফা দিবস উপলক্ষে আমিনপুর থানার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তরের জনসাধারণের আয়োজনে এক কর্মী সমাবেশ ও র্যালি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ খন্দকার আজিজুল হক এসব কথা বলেন। এ সময় পাবনা-২ আসনের অসংখ্য নেতাকর্মী ও জনসাধারন উপস্থিত ছিলেন।
বাবু/জেএম