ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের সার্ভার ত্রুটির কারণে দুই দেশ বাংলাদেশ ও ভারতের যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন দুই দেশের যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার সকালে সার্ভারে ত্রুটি দেখা দেয়।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেক পোস্ট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ৪-৫ জন যাত্রী ভারতে যান। এর পরপরই ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের সার্ভারে ত্রুটি দেখা দেয়। সার্ভারে ত্রুটি দেখা দেয়ার পর থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ভারতে যেতে ইচ্ছুক দুই দেশেরে যাত্রীদের কেউই ইমিগ্রেশনের প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারছেন না। অপরদিকে সকাল থেকে ভারতের আগরতলাসহ বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আসা বাংলাদেশ ও ভারতের যাত্রীরা ইমিগ্রেশন অতিক্রম করতে পারছেন না।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের বাসিন্দা সোহাগ মিয়া বলেন, অনেক যাত্রীই আগরতলা এয়ারপোর্ট থেকে বিমানে কলকাতা, চেন্নাই, মুম্বাই যাবেন। সার্ভার ত্রুটির কারণে অনেকের ফ্লাইট ছুটবে। এর ক্ষতিপূরণ কে দিবে।
ভারত থেকে আসা বাংলাদেশের যাত্রী সুর্বণা সরকার বলেন, চেন্নাই থেকে অস্ত্রোপচার করে দেশে ফিরেছি। এখানে আটকা পড়েছি। সেই সঙ্গে গরমের তীব্রতাও রয়েছে। দুর্ভোগ পোহাচ্ছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের হাফেজ মো. ইলিয়াস বলেন, চিকিৎসার জন্য দুপুরের ফ্লাইটে চেন্নাই যাব। যে অবস্থা দেখছি তাতে মনে হচ্ছে ফ্লাইস মিস হবে।

আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেক পোস্টের ইনচার্জ পরিদর্শক হাসান আহমেদ ভূইয়া বলেন, সার্ভার ত্রুটির কারণে আগারতলা থেকে বাংলাদেশে আসা এবং ভারতে যেতে ইচ্ছুক আসা যাত্রীদের পারাপার বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে ইমিগ্রেশন এলাকায় ৪০০-৫০০যাত্রী আটকা পড়েছে। কবে সার্ভার ঠিক হবে তা বলা মুশকিল। তবে সার্ভারের ত্রুটি সারাতে কাজ চলছে। ম্যানিউয়ালি কাজ করে যাত্রী পারাপারের বিষয়ে তিনি বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত না আসলে আমাদের কিছু করার সুযোগ নেই।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্যমতে সার্ভারের ত্রুটি ঠিক হয়নি। বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি।
-বাবু/এ.এস