বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও ইন্দুরকানী উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত 'গ্রামীণ উন্নয়নে পর্যটন' শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১২ জুন) সকাল দশটায় উপজেলা পরিষদ কনফারেন্স হলে ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুৎফুন্নেসা খানমের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মশিদুল হকের সঞ্চালনায় উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট এম মতিউর রহমান।
এ সময় উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান দিলরুবা মিলন নাহার, রুহুল আমিন বাগা, ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. এনামুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা ইন্দুরকানী উপজেলাকে পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় একটি সমৃদ্ধ উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তাদের নিজ নিজ অভিমত ব্যক্ত করেন।
এর আগে পর্যটন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের দায়িত্বে নিয়জিত অতিরিক্ত সচিব মো. আবু তাহের জাহিদ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কর্মশালায় যুক্ত হয়ে গ্রামীণ উন্নয়নে পর্যটন বিষয়ে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। এবং ইন্দুরকানী উপজেলায় পর্যটনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
কর্মশালায় আমন্ত্রিত ব্যক্তিবর্গ তাদের অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, ৯২.৫৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই উপজেলাটির অবস্থান। তিন দিকে নদীবেষ্টিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এ উপজেলাটিতে রয়েছে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা। পারেরহাটের সূর্য প্রসন্ন বাজপাইর জমিদার বাড়িটি সংরক্ষণ, গাবগাছিয়া গ্রামের ২ গম্বুজ বিশিষ্ট প্রাচীন মসজিদটি সংরক্ষণ, বালিপাড়া ইউনিয়নের মৃধারহাট সংলগ্ন মীরা বাড়ির সাড়ে তিন শত বছরের পুরনো প্রাচীন মসজিদ সংরক্ষণ, কলারনের মধুমালার বাড়ির মাঠ ও উত্তর বালিপাড়ায় মদন কুমারের দীঘিটি সংরক্ষণ করা। এবং সুন্দরবনের আদলে গড়ে ওঠা বলেশ্বর ও পানগুছি নদীর মোহনায় চন্ডিপুর ইউনিয়নের কলারনে শ্যামলী নিঃসর্গ ম্যানগ্রুোফ ফরেস্ট পার্কটির অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যাতায়াতের জন্য সম্পূর্ণ সড়কটি পাকাকরণ সহ ছৈলাবনের ভিতরে প্রবেশের বাশের তৈরি রাস্তা ও টং ঘর দ্রুত সংস্কার করে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার দাবি জানানো হয়।
এছাড়া উপজেলার সাঈদখালি মাঝের চরে একটি পিকনিক স্পট স্থাপন এবং ইন্দুরকানী উপজেলায় শিশুদের চিত্ত বিনোদন ও সুপ্ত-প্রতিভা বিকাশের জন্য একটি শিশু পার্ক স্থাপনের জোরালো দাবি জানানো হয়।
বাবু/জেএম