রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারুণ্যের সমাবেশ করবে বিএনপি। সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে যৌথভাবে শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ। একই দিন বড় দুই দলের সমাবেশকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে তৎপর বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা।
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাঠে ‘তারুণ্য সমাবেশে’ জড়ো হচ্ছেন বিএনপির অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা।
আজ শনিবার (২২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্ক, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট ও মৎস্য ভবনের আশপাশে নেতাকর্মীদের জড়ো হতে দেখা গেছে।
সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে মিছিল নিয়ে আসা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মাঠে জড়ো হন। তারা এক দফা দাবিতে সরকারের পদত্যাগ, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। সমাবেশস্থলের চারপাশে অসংখ্য ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন টাঙানো হয়েছে।
তারুণ্যের সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি সমাবেশ এক দফা আন্দোলন নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে।
যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু জানান, সারা দেশে বর্তমান সরকারের আমলে প্রায় চার কোটি ৭০ লাখ নতুন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। তাদের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য এ সমাবেশে হবে জনসমুদ্র।
এদিকে আন্দোলনের নামে বিএনপি যেন ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালাতে না পারে সেজন্য জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একইদিন পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ।
গত শুক্রবার (২১ জুলাই) আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শনিবার বেলা আড়াইটায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তি সমাবেশ শুরু হবে।
যুবলীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, হত্যা-ষড়যন্ত্র অপরাজনীতি ও তাণ্ডবের প্রতিবাদে শনিবার আওয়ামী যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের যৌথ উদ্যোগে এই শান্তি সমবেশ হবে। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী।
নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবিসহ বেশকিছু বিষয় নিয়ে গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে রাজপথে আন্দোলন শুরু করে বিএনপি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, একই দিনে বড় দুই দলের কর্মসূচি থাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। পোশাক ছাড়াও বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগের লোকজন সিভিলে ডিউটি করবে। তারা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবে। কর্মসূচিতে যদি কেউ নাশকতার চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাবু/এ.এস