অ্যামাজনকে বলা হয় পৃথিবীর ফুসফুস আর পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনকে বলা হয় বাংলাদেশের ফুসফুস। ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার সুন্দরবনের ৬,৫১৭ বর্গ কিলোমিটার (৬৬ শতাংশ) রয়েছে বাংলাদেশে। যা দেশের মোট আয়তনের প্রায় ২২.৬৪ ভাগ। প্রায় ৩৫ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল। মানুষেরা এখান থেকে গোলপাতা, মধু, মাছ এবং কাঁকড়া আহরণ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। শুধু তাই নয়, জাতীয় অর্থনীতিতেও সুন্দরবনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এমনকি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ ও সম্পদকে মায়ের আঁচলের মতো রক্ষা করে চলেছে এবং সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে, যা দেশের অহংকার।
গভীর উদ্বেগের বিষয় হলো, বিভিন্ন সময়ে তেলের ট্যাংক ডুবে বনের পরিবেশ দূষিত হওয়া, ঘন ঘন মনুষ্য সৃষ্ট আগুন, নির্বিচারে গাছ কেটে বন উজাড় করা, বিষাক্ত ওষুধ দিয়ে মৎস্য ও জলজ প্রাণী ধ্বংস করা, চোরা শিকারি ও বনসংলগ্ন এলাকায় শিল্প-কারখানা নির্মাণের কারণে সুন্দরবনের অস্তিত্ব ক্রমেই হুমকির মুখে পড়ছে। তার ওপর রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে সুন্দরবনের অস্তিত্ব হারিয়ে যেতে বেশিদিন সময় লাগবে না। তাই বাংলাদেশের ফুসফুস খ্যাত সুন্দরবন রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লেখক : শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
বাবু/এ.এস