ওয়ালটন-কালবেলা বিশ্বকাপ কুইজের প্রথম পর্বের প্রথম পুরস্কার পেলেন কোনাপাড়ার হাসান মাহমুদ শাইদ, দ্বিতীয় পর্বে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন কুমিল্লার শামীমা নুর।
শনিবার (২২ জুলাই) দৈনিক কালবেলা কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কালবেলার প্রধান সম্পাদক আবেদ খান, সাবেক তারকা ফুটবলার কায়সার হামিদ, ওয়ালটন গ্রুপের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (হেড অব পিয়ার মিডিয়া অ্যান্ড ব্র্যান্ডিং) মোহাম্মদ শাহজাদা সেলিম, কালবেলার উপসম্পাদক দীপঙ্কর লাহিড়ী ও ডিরেক্টর সেলস মার্কেটিং অ্যান্ড অপারেশন্স রিমন তালুকদার এবং ক্রীড়া সম্পাদক রানা হাসান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের এডিশনাল অপারেটিং ডিরেক্টর অগাস্টিন সুজন বাড়ৈ, কালবেলার জেনারেল ম্যানেজার (সার্কুলেশন) রিয়াজ শাহী, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবুল কাশেম, বার্তা সম্পাদক রাজু আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদক মো. কবির হোসেন এবং ওয়ালটন গ্রুপের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রিন্সিপাল অফিসার আরজু হোসেন।
অনুষ্ঠানে কালবেলার প্রধান সম্পাদক আবেদ খান বলেন, ‘ওয়ালটন এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যা মানুষের মাঝে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা ওয়ালটনকে কেবল ক্রীড়াঙ্গনে সীমাবদ্ধ দেখতে চাই না, যে কোনো সামাজিক প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানটিকে দেখতে চাই। আমরা ওয়ালটনের কাছ থেকে নতুন উদ্ভাবন দেখতে চাই। আপনারা যারা পুরস্কার পেয়েছেন, তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
কালবেলার সম্পাদক ও প্রকাশক সন্তোষ শর্মা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারলেও পুরস্কার বিজয়ীদের ভার্চুয়ালি অভিনন্দন জানান। এ সময় তিনি কুইজের পৃষ্ঠপোষক ওয়ালটনকে ভবিষ্যতে আরও বড় আকারে কালবেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার অনুরোধ করেন।
সাবেক তারকা ফুটবলার কায়সার হামিদ বলেন, ‘আত্মপ্রকাশের মাত্র দেড় মাসের মাথায় কালবেলা যে সাড়া পেয়েছে, তা ছিল অসাধারণ। আমি নিজেও ওয়ালটনের পণ্য ব্যবহার করি। কালবেলার সাফল্য কামনা করছি।’
ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (হেড অব পিয়ার মিডিয়া অ্যান্ড ব্র্যান্ডিং) মোহাম্মদ শাহজাদা সেলিম বলেন, ‘কালবেলা পত্রিকা হিসেবে নতুন হলেও কুইজে পাঠকদের সাড়া ছিলো দারুণ। আমরা সে মানদণ্ডেই পত্রিকাটিকে বিচার করেছি। ওয়ালটন-কালবেলার পথচলা দীর্ঘায়িত হবে।’
কালবেলার উপসম্পাদক দীপঙ্কর লাহিড়ী বলেন, ‘মাত্র দেড় মাস বয়সে আমরা পাঠকদের কাছ থেকে অভাবনীয় সাড়া পেয়েছি। আমার প্রত্যাশা, কালবেলার পাঠকরা পাশে থাকবেন, পাশে থাকবে ওয়ালটনও।’
কালবেলার ডিরেক্টর সেলস মার্কেটিং অ্যান্ড অপারেশন্স রিমন তালুকদার বলেন, ‘ওয়ালটন একমাত্র ব্র্যান্ড হিসেবে সব মিডিয়ার সঙ্গে আছে। আশা করছি, কালবেলায় প্রতিষ্ঠানটির সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে।’
ওয়ালটনের এডিশনাল অপারেটিং ডিরেক্টর অগাস্টিন সুজন বাড়ৈ পাঠক এবং কুইজে অংশগ্রহণকারীদের সম্পর্কে বলেন, ‘আপনারা পাশে ছিলেন বলেই ওয়ালটন এমন উদ্যোগের সঙ্গে থাকে।’
কুইজের প্রথম পর্বে প্রথম হয়েছেন ঢাকার কোনাপাড়ার হাসান মাহমুদ শাইদ। দ্বিতীয় পুরস্কার পান চট্টগ্রামের খালেদ আহমদ সিরাজী। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন ঢাকার মতিঝিলের নাজমুন। চতুর্থ পুরস্কার পেয়েছেন নোয়াখালীর শাহেদুর, মাগুরার খন্দকার এরফান আলী ও চাঁদপুরের সুমাইয়া আক্তার। পঞ্চম পুরস্কার পেয়েছেন মিরপুরের সালমা আক্তার, ফরিদপুরের রুনা আক্তার ও ঢাকার শান্তিপুরের জোবেদা খাতুন।
দ্বিতীয় পর্বে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন কুমিল্লার শামীমা নুর। দ্বিতীয় পুরস্কার পান ঢাকার মিরপুরের মো. মুরসালিন। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন ঢাকার মিরপুরের মো. জব্বার। চতুর্থ পুরস্কার পান ফরিদাবাদের ফাতেমা, ডেমরার নাজমা ও মান্ডার রাবেয়া। পঞ্চম পুরস্কার পেয়েছেন ঢাকার ডেমরার মো. সুমন, ঢাকার বাপ্পি ও ঢাকার মিরপুরের মো. হারিস।
বাবু/এ.এস