দলীয় হোক কিংবা জাতীয়। যে কোন অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিজেদের ছবি সম্মলিত বিভিন্ন ধরনের পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও গেইট তৈরি করে আত্মপ্রচার করছেন। জাতীয় শোক দিবসকে ঘিরে প্রচার-প্রচারণার নতুন কৌশল হিসেবে এই পন্থা বেছে নেয়ায় বিব্রত সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দরা।
১৫ আগস্টের পোস্টার এবং ব্যানারে তাদের ছবির ভিড়ে বঙ্গবন্ধু শেক মুজিবুর রহমানকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। যদিও জাতীয় শোক দিবসে ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ থেকে নির্দেশনা রয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া কারও ছবি দিয়ে শোক দিবসে ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড ও পোস্টার করা যাবে না।’ কিন্তু এসব নির্দেশনা মানছে না দলটির পদধারী নেতা-কর্মীরা।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দৃশ্যমান শোকের ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার না দেখা গেলেও প্রচারের ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে বেছে নেয়া হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে শোকের পোস্টারে নেতাদের ছবির ছড়াছড়ি। আত্মপ্রচারের জন্য কেউ কেউ বঙ্গবন্ধুর ছবি ছোট করে ব্যবহার করেছেন। কেউবা হাস্যোজ্জ্বল ছবি সম্মলিত পোস্টার ছড়িয়েছেন। তবে ব্যতিক্রম চিত্রও রয়েছে।
দেখা গেছে, উপজেলা সদরের বাহেরচর বাজারে শোক দিবস উপলক্ষে দুইটি গেইট করেছে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মশিউর রহমান শিমুল। যেখানে সংসদ সদস্য মহিববুর রহমান মুহিব ও তার ছবি ব্যবহৃত ব্যানার ও ড্রপ-ডাউন ব্যানার সাঁটানো। ব্যানারে সিংহভাগ অংশজুরে এই দুই নেতার হাস্যোজ্জ্বল ছবিপ্রচার করা হয়েছে। এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও আ’লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ছবি দেওয়া হয়েছে ছোট্ট করে। রয়েছে জেলা এবং কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতাদের ছবি। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াদ মৃধার একটি পোস্টার ফেইসবুকে শেয়ার করেছে আর অনুসারীরা। সেখানেও দেখা মিলেছে হাস্যোজ্জ্বল ছবির পাশাপাশি একাধিক ছবি।
মৌডুবি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মো. ইমান হাওলাদার তার ফেইসবুকে একটি শোকের পোস্টার শেয়ার করেছেন। সেখানে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছোট্ট করে দেয়া হয়। অথচ সংসদ সদস্য ও ইমানের ছবি ছিল দৃশ্যমান। ছবি দুটিও ছিল হাস্যোজ্জ্বল। আর শোকের পোস্টারটি ছিল বাহারি রঙের। তবে ব্যতিক্রম দেখা গেছে, উপজেলা আ’লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন শোভন, ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মু. কামরুজ্জামান শিবলী, চরমোন্তাজ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. রাসেল খান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুজ্জামান আরিফের পোস্টার। এই চার নেতা শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ ধরনের পোস্টার এবং ব্যানার দেখিনি। যদি এরকম কোন ঘটনা থাকে তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বাবু/জেএম