তোশাখানা দুর্নীতি মামলাসহ মোট ৬টি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা ইমরান খানের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির আদালত। মঙ্গলবার ইসলামাবাদের একটি জেলা ও দায়রা আদালত ইমরানের আবেদন খারিজ করে রায় দিয়েছেন।
গত ৯ মে আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারের পর ইমরান-সমর্থকরা দেশের বিভিন্ন সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেন। রাজপথে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভবনে অগ্নিসংযোগ করে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করেছিলেন ইমরান সমর্থকরা। এসব সহিংসতার ঘটনায় ইসলামাবাদের করাচি কোম্পানি, রমনা, কোহসার, তরনুল সেক্রেটারিয়েট থানায় পিটিআইপ্রধানের বিরুদ্ধে এ ছয়টি মামলা নথিভুক্ত হয়।
গতকাল (১৫ আগস্ট) মঙ্গলবার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ চেয়ারম্যান ইমরান খানের ছয়টি মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ বাড়াতে অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা আদালত। বিচারক মুহাম্মদ সোহেল বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে ইমরান খানের জামিন বাড়ানো যাবে না। প্রসিকিউটর ফরহাদ আলী শাহ আদালতে জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের জামিনের আবেদন গ্রহণের আইনে কোন সুযোগ নেই। তিনিই পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ চেয়ারম্যানের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন প্রত্যাখ্যান করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন।
ইমরান খানের আইনজীবী বলেন, তার মক্কেল কারাগারে, তিনি আদালতে হাজির হতে চান। আদালতের তাকে তলব করা উচিত। আদালত জানায়, ইমরান খান মুক্ত থাকা অবস্থায় আদালতের আদেশ পালন করে আদালতে হাজির হননি। পরে আদালত পিটিআই চেয়ারম্যানের জামিনের আবেদন খারিজ করে।
ইসলামাবাদের একটি বিচারিক আদালত ইমরান খানকে তোশাখানা বা রাষ্ট্রীয় আমানতের উপহারের অর্থ গোপন করার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ পাকিস্তানি রুপি জরিমানা করে। গত ৫ অগস্ট ইসলামাবাদের পুলিশ প্রধান তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়। পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বর্তমানে দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশের অ্যাটক কারাগারে কারাগারে রাখা হয়েছে।
বাবু/এ.এস