পিরোজপুরে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন।
আটক প্রধান অভিযুক্ত আমিন খান (৪২) সদর উপজেলার টোনা ইউনিয়নের মৃত চান খানের ছেলে এবং মো. সোহাগ মীর (৩৪) পিরোজপুর পৌরসভার আলামকাঠী এলাকার সালাম মীরের ছেলে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ভাড়ায়চালিত একটি মোটরসাইকেলে পিরোজপুর-নাজিরপুর-গোপালগঞ্জ সড়ক দিয়ে পিরোজপুর শহর থেকে কদমতলার দিকে যাচ্ছিলেন ওই ভুক্তভোগী নারী। পথে কদমতলা নামক স্থানে পৌঁছালে আমিন খান ও ইমরান খান নামের দুই যুবক মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে। এরপর ওই নারীকে জোরপূর্বক কাছেই একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এছাড়া ভুক্তভোগী নারীর মোবাইল ও বিকাশ পাসওয়ার্ডও ছিনতাই করা হয়। সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর তাকে ছেড়ে দিলে তিনি রাতেই পিরোজপুর সদর থানায় এসে বিষয়টি পুলিশকে জানান।
এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন জানান, ভুক্তভোগী ওই নারীকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনার পরপরই মূল অভিযুক্ত আমিন খান ও তার সহযোগী সোহাগকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অভিযান চলছে, বাকি অভিযুক্তদের দ্রুত আটক করতে পারবো বলে আশা করছি।
পিরোজপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শেখ মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এই ঘটনায় সদর থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাবু/জেএম