মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫ ৩১ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫
পদ্মানদীতে জব্দকৃত অবৈধ ড্রেজার ইউএনওর কাছ থেকে ছিনতাই
আবিদ হাসান, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৩, ১:০৬ PM

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে পদ্মানদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তাপসী রাবেয়াকে ঢাকা জেলার দোহার উপজেলায় নিয়ে যায় অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটায় হরিরামপুর উপজেলার আজিমনগর ধূলসুড়া ইউনিয়নের শেষ পয়েন্ট (ঢাকা জেলার দোহারের শুরু) এলাকার পদ্মানদীতে এ ঘটনা ঘটে।

হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তাপসী রাবেয়া বলেন, উর্ধ্বতন স্যারদের অনুমতি নিয়ে ধুলশুরা ইউনিয়নের ভাঙন কবলিত এলাকার পাশে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের ধরতে তিনজন পুলিশ সদস্য, আনসারসহ একটি টিম নিয়ে হরিরামপুর উপজেলার আজিমনগর ধূলসুড়ার শেষ পয়েন্ট পদ্মা নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে যাই। পদ্মাভাঙন রোধে অবৈধ ড্রেজারের ক্ষতিকারক জায়গাগুলো চিহ্নিত করতে গিয়ে দেখি হরিরামপুর উপজেলার সীমনায় এসে বালু কাটছে দোহারের অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা। এসময় অবৈধ বালু ব্যাবসয়ীদের ড্রেজার ও বাল্কহেড জব্দ করি। পরে ড্রেজার ও বাল্ক হেড আনার সময় দোহার থেকে স্পীড বোট ও নৌকা নিয়ে দেড় শতাধিক লোক আমাদের ঘিরে ফেলে। এসময় ড্রেজার (বালু কাটার) তারা নিয়ে যায়। তবে বালু ভর্তি বাল্কহেড আমি ছাড়িনি। বাল্কহেডসহ তারা আমাদের ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার মৈনট ঘাট এলাকায় নিয়ে যায়। পরে মানিকগঞ্জের ডিসি স্যার ঢাকা জেলার ডিসি স্যারকে জানালে দোহারের এসিল্যান্ড মৈনট ঘাটে আসেন। আমি দোহারের এসিল্যান্ডকে বাল্কহেড বুঝিয়ে দিয়ে হরিরামপুর চলে আসছি।

দোহারের এসিল্যান্ড এসএম মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে মৈনট ঘাটে যাই। হরিরামপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মহোদয় একটি বাল্কহেড মৌখিকভাবে দিয়ে যান। তবে বাল্ক হেড লিখিতভাবে বুঝিয়ে দেননি। সিনিয়র স্যারদের সাথে কথা বলে বাল্ক হেডের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

বাবু/এ.এস

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত