ময়মনসিংহের ত্রিশালে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ফিলিং স্টেশন জোর পূর্বক দখল করে নিয়েছে। এ ঘটনায় উত্তপ্ত এলাকাবাসী, থানায় অভিযোগ দায়ের। যৌথ মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত মেসার্স মোজাদ্দেদীয়া ফিলিং স্টেশনের মালিক আব্দুল মান্নানের অংশ অপর মালিক সোহেল রানা জোরপূর্বক দখল করে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।
অভিযোগে জানাযায়, ত্রিশাল উপজেলার বাগান এলাকায় যৌথ মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত মেসার্স মোজাদ্দেদীয়া ফিলিং স্টেশনের আব্দুল মান্নান ৪০ শতাংশ ও সোহেল রানার ৬০ শতাংশের চুক্তিনামা অনুযায়ী মালিক। আব্দুল মান্নান মোজাদ্দেদীয়া ফিলিং স্টেশন পরিচালনার দায়িত্ব দেন সোহেল রানাকে। তাদের যৌথ মালিকানাধীন আরেকটি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাকরা ব্রিকস পরিচালনা করতে গিয়ে তারা দুজনে দ্বন্ধে জড়িয়ে পড়েন।
এতে বিগত পাঁচ বছর যাবৎ আব্দুল মান্নানকে ফিলিং স্টেশন পরিচালনা করতে বাধা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সোহেল রানা। সে ফিলিং স্টেশনের কোন হিসাব-নিকাশ, লভ্যাংশ না দিয়ে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে জোড় পূর্বক দখল করে রেখেছে। তার কাছে ফিলিং স্টেশনের মালিকানা চাইতে গেলে সে ভয়, ভীতি খুন করার হুমকি
দেয় আব্দুল মান্নাকে। চলতি বছর গত ১৫ জুন আব্দুল মান্নান সোহেল রানার কাছে তার প্রাপ্য ৪০ শতাংশ মালিকানাসহ লভ্যাংশ বুঝিয়ে দিতে বললে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। পরে সে অস্বীকার করে গালমন্দ করে মান্নানকে মারপিট ও লাঞ্ছিত করে। এতে তার ডান চোখ মারাত্মকভাবে জখম হয়।
অভিযোগকারী আব্দুল মান্নান বলেন, যৌথ মালিকানাধীন মেসার্স সাকরা ব্রিকসে সোহেল রানা নির্মাণের খরচের হিসাবে বিশ লক্ষ টাকার গড়মিল করে আত্মসাৎ করেন। পরে সে ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে ক্ষমতার ধাপট দেখিয়ে মোজাদ্দেদীয়া ফিলিং ষ্টেশনে আমার ৪০ শতাংশ মালিকানা দিতেও অস্বীকার করেন। সে একাই প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে ফিলিং স্টেশন ভোগ দখল করছে। এ ঘটনায় সঠিক বিচার পেতে ত্রিশাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোহেল রানা বলেন, তার সাথে আমার ১৯ অক্টোবর ২০১১ সালে একটি ডিট হয়েছিল। ঐ ডিটের কয়েকদিন পরে ২৫ অক্টোবর ২০১১ সালে আরেকটি ডিট হয় এতে ফিলিং স্টেশনের পুরো মালিকানা আমার হয়ে যায়। এটা নিয়ে থানায় দুই পক্ষই অভিযোগ করি ওসি সাব দরবার করেছে। সে বলেন আমার কাছে কোর্টের নোটারি সার্টিফিকেট আছে।
ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাইন উদ্দিন বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় দুই পক্ষকে ডেকে আনা হয়েছিল। বাদী ও বিবাদীর দুই পক্ষের কাগজপত্র দেখেছি। বাদীকে বলেছি এখানে পুলিশের করার কিছু নেই। আপনি আদালতের দ্বারস্থ হন।
বাবু/জেএম