চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী অজ্ঞাত একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মায়া নন্দী (৬৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে উপজেলার পৌর সদরের দক্ষিণ বাইপাস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি পৌরসভার পশ্চিম মহাদেবপুর (নামার বাজার) এলাকার মৃত সুনীল নন্দীর স্ত্রী।
নিহতের ছেলে সরোজ নন্দী জানান, তার মা মায়া নন্দী হাসপাতালের গেটের পাশে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কাজ করতেন। আজ সকালে কাজে যাওয়ার পথে মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন তিনি। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে দ্রুতগতির অজ্ঞাত একটি বাসের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) শাহাদাত হোসেন জানান, নিহত নারীর মরদেহ উদ্বার করেছি। তবে ঘাতক গাড়িটি এখনো শনাক্ত করা যায়নি। নিহতের ছেলের আবেদনের প্রেক্ষিতে আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। লাশ উদ্বারের পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
অন্যদিকে, উপজেলার বাশঁবাড়িয়া এলাকার বিলাসী ঝর্ণায় বেড়াতে এসে এ. কে. এম নাইমুল হাসান (২০) নামে এক পর্যটক নিহত হয়েছেন। বুধবার বেলা ১২টার দিকে বাশঁবাড়িয়া বিলাসী ঝর্ণা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তরুণ পাহাড়তলী থানার দক্ষিন কাট্টলীর উত্তর নাথপাড়ার মো. আবুল কাশেমের ছেলে।
জানা যায়, বুধবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে তিন বন্ধু বেড়াতে আসে বাশঁবাড়িয়া পাহাড়ি এলাকায় । তারা তিন বন্ধু ঝর্ণার লেকে গোসল করতে নেমে তিনজনের মধ্যে নাইমুল হাসান নামে একজন নিখোঁজ হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ঘটনাস্থল গিয়ে ৩০ মিনিট পর তাকে উদ্বার করে।
এরপর সীতাকুণ্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান কুমিরা ফায়ার স্টেশনের জুনিয়র কর্মকর্তা ফিরোজ মিয়া।
বাবু/জেএম