জামদানি মেলার নামে চট্টগ্রামের ফুসফুস হিসেবে পরিচিত সিআরবির শিরীষ তলা দখল, বৃক্ষ নিধন, বানিজ্যিকীকরণের প্রতিবাদে নাগরিক সমাজ মেলা প্রাঙ্গণে অবস্হান নিয়ে এ ধরনের হীণ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছে।
এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের নীল নকশা বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে ৪৮৩ দিন টানা আন্দোলনের কথা মাফিয়া গোষ্ঠী হয়তো ভুলে গেছে। তারা ভেবেছে, নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রাম ঘুমিয়ে পড়েছে। বোকার স্বর্গে বাস করছে তারা। আজ তারা বুঝতে পেরেছে, নাগরিক সমাজের একজন সদস্যও বেঁচে থাকতে সিআরবি নিয়ে যে কোন ষড়যন্ত্র তারা রুখে দেবে। কারণ নাগরিক সমাজের পক্ষে আছে এক ঝাঁক মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সন্তান, যারা চট্টগ্রামকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সদা প্রস্তুত।
তাই ৪৮৩ দিনের টানা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রাম যেমন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার নামে প্রাণের ফুসফুস সিআরবিকে খুবলে খাওয়ার ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে, একইভাবে বাণিজ্যিক মেলার নাম দিয়ে সিআরবির শিরীষতলা দখলের চক্রান্ত নস্যাতে আবারও পথে নেমেছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আপনাদের কপাল ভালো যে, আপনারা অবস্থা বুঝে মেলা বন্ধ করেছেন। আমরা বন্ধ করতে হলে পালানোর পথ খুঁজে পেতেন না। আপনাদের বলছি, এখনও সময় আছে, সিআরবিতে আগামী দিনে বাণিজ্যিক কোন কিছু করার চেষ্টা ভুলেও করবেন না। যদি করেন, তবে আর মুখে কিছু বলবো না, সামনাসামনি মোকাবেলা করবো।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক সমাজ চট্টগ্রামের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুস, জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দীন বাবুল, বেলায়েত হোসেন, আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ হাসান, ঋত্বিক নয়ন, প্রনব চৌধুরী, নারী নেত্রী হাসিনা আক্তার টুনু,আবৃত্তি শিল্পী বিপ্লব, আরশী, জাফর, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সাইমুন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাফায়েত হোসেন রাজু, সম্পাদক মোহাম্মদ তারেক, উপ-সম্পাদক তৌহিদুল করিম ঈমন, আবু তুরাব, জাহেদ অভি প্রমুখ।