হ্যামফার হচ্ছে ব্রিটিশ কমনওয়েলথ মন্ত্রণালয়ের একজন গোয়েন্দা। তাকে মিসর, ইরান, ইরাক, হিজাজ এবং ইসলামের খেলাফতের কেন্দ্র ইস্তাম্বুলে মুসলমানদেরকে পথভ্রষ্ট করা এবং খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারের জন্য নিয়োজিত করে। হ্যামফারের ডায়েরিটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানদের হাতে আসে এবং তারা জার্মান পত্রিকা ইসপিগল এ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করেন। হ্যামফার তার ডায়েরিতে লিখেছেন, “আমাদের ব্রিটেন এক বিশাল দেশ। এ দেশের সাগরের উপর সূর্যোদয় হয় আবার এর সাগরের অতলে সূর্যাস্ত যায়।
তারপরেও আমাদের কলোনি ভারত, চীন এবং মধ্যপ্রাচ্যে এখনো অনেক দুর্বল। এ রাষ্ট্রগুলো এখন পরিপূর্ণভাবে আমাদের করায়ত্ত নয়। এ দেশগুলোর ব্যাপারে আমরা সক্রিয় এবং সফল পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমরা অবিলম্বে এ দেশগুলোতে সম্পূর্ণ দখলদারিত্ব স্থাপন করতে পারব। এ জন্য আমাদের দুইটি বিষয় অতীব জরুরি। এক. আমরা যে স্থান দখল করেছি তা ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। দুই. যে সকল স্থানে দখলদারিত্ব নেই তা অর্জন করতে হবে। কমনওয়েলথ মন্ত্রণালয় উপরোক্ত প্রত্যেক কলোনি রাষ্ট্রের সমন্বয়ে এ কাজ দুটি করার জন্য কমিশন গঠন করেছে। আমি কমনওয়েলথ মন্ত্রণালয়ে যোগদান করার পরেই মন্ত্রী মহোদয় এ কাজের জন্য আমার উপর আস্থা স্থাপন করেন এবং আমাকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রশাসক নিযুক্ত করেন। বাহ্যিকভাবে এটা ছিল একটি বাণিজ্যিক কোম্পানি। কিন্তু এর প্রকৃত কাজ ছিল বিশাল ভারতের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের পন্থা খুঁজে বের করা। আমাদের সরকার ভারতের বিষয়ে ভীত ছিল না।
ভারত হচ্ছে বহুজাতিক লোকের দেশ, এখানে মানুষেরা বিভিন্ন ভাষায় কথা বলে এবং পরস্পরবিরোধী স্বার্থের লোক বাস করে। আমরা চীনের বিষয়েও ভীত নই। চীনে বৌদ্ধ ও কনফুসিয়ান ধর্মের লোকেরা বাস করে, এর কোনটাই আমাদের জন্য বড় বাঁধা নয়। দুটো ধর্মই মৃতপ্রায় এবং জীবন ঘনিষ্ঠ নয় এবং কেবল কোন ধর্মাবলম্বী হিসেবে চিহ্নিত করা ছাড়া এখানে আর কিছুই নেই। আর এ কারণেই এ দুটি দেশের লোকদের দেশপ্রেমের অনুভূতি খুবই কম। এ দুটি দেশ আমাদের ব্রিটিশ সরকারের কোন চিন্তার বিষয় নয়। কথা হচ্ছে দেরিতে হলেও এ দুটি দেশ জয় করার কথা বিবেচনা থেকে বাদ দিলে চলবে না। তাই আমরা এ দুটি দেশে বেতন বা মজুরি নিয়ে সংঘাত, অজ্ঞতা, দারিদ্র্য ও রোগব্যাধি ছড়িয়ে দেবার জন্য এক দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করি। আমরা আমাদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এ দুটি দেশের প্রথা এবং নিয়ম-কানুন নকল ও অনুকরণ করতে শুরু করি। এ দুটি দেশের মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়ার জন্য তাদের ঘুষ প্রদান করে দুর্নীতিগ্রস্ত করা, অযোগ্য প্রশাসন তৈরি করা, অপর্যাপ্ত ধর্মীয় শিক্ষা এবং সুন্দরী রমণীদের দ্বারা ব্যস্ত রেখে তাদের দায়িত্বে অবহেলা তৈরি করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ জাতীয় ক্ষতিকর কাজকর্মের স্বাভাবিক পরিণতি হচ্ছে অর্থনৈতিক পতন। আমাদের কাজ হচ্ছে ফসল ধ্বংস করা,বাণিজ্যিক নৌবহর ডুবিয়ে দেয়া, বাজারে অগ্নিসংযোগ করা, বাঁধ বা ব্যারেজ ধ্বংস করে দেয়া, এভাবে কৃষি ও শিল্প কেন্দ্রসমূহ ডুবিয়ে দেয়া এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে তাদের খাবার পানির নেটওয়ার্ক দুষিত করে ফেলা। রাষ্ট্রনায়কদের যৌনতা, মদ, জুয়া, ও দুর্নীতিতে অভ্যস্ত করে তোলা, যাতে তারা এসব ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যয় করে এবং এগুলো হবে জনবিদ্রোহ ও ষড়যন্ত্রের কারণ।
ব্রিটিশ সরকারের সরাসরি মদদপুষ্ট ছিল এই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। বলতে গেলে রানি এলিজাবেথ প্রথম এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। তাদের ব্যবসা করার লাইসেন্স দেন। কোম্পানির শেয়ার ও মুনাফায় অংশ ছিলো ব্রিটিশ এলিট ক্লাস, ব্রিটিশ এমপি ও ব্রিটিশ সরকারের। ১৭ শতকের শেষ দিকে ও ১৮ শতকের শুরুর দিকে এই কোম্পানির প্রায় ২৪ শতাংশ শেয়ার ছিল British and Beats-এর হাতে, যে কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজে দাস ব্যবসা বন্ধ হতে দীর্ঘকাল সময় লেগেছে। ১৪৫০ থেকে ১৮৫০ পর্যন্ত, প্রায় ৪০০ বছর ধরে এই ব্যবসা চলেছে। প্রায় ১০ কোটি মানুষকে আটলান্টিক দিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ এমপিরা আঠারো শতকে এই দাস ব্যবসা বন্ধ করা নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত হয়। অনেকেই চাচ্ছিল না এই ব্যবসা বন্ধ হোক, কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই জায়গাগুলোতে তাদের বিনিয়োগ ছিলো। তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজে দাসদের ব্যবহার করে আখ ফলিয়ে প্রচুর লাভ করেছিল, এই কারণে দাসব্যবসা বাঁচিয়ে রাখা তাদের জন্য অত্যন্ত দরকারি ছিল।
আর এ জন্যই থমাস ক্লার্কসন, উইলিয়াম উইলবারফোর্সের মতো লোকেরা দাস ব্যবসা বন্ধ করতে কিছুতেই রাজি ছিল না। বলা যায়Ñ ব্যবসার মাধ্যমে উপনিবেশবাদ শুরু হয়। ব্রিটিশ, ফ্রেঞ্চ, পতুর্গিজ ও ইউরোপীয়রা তাদের জাহাজ নিয়ে বাণিজ্য করতে সাগরে সাগরে বের হয়ে পড়ে, নানা দেশে এসে বসতি স্থাপন করে। তারা এসে দেখল স্থানীয় লোকেরা কোনো যোগ্য শাসক দ্বারা শাসিত হচ্ছে না। অতঃপর সামরিক শক্তি দিয়ে তাদেরকে দখল করে উপনিবেশ স্থাপন করে। সপ্তদশ শতাব্দীতে ব্রিটিশরা মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের অনুমতি নিয়ে ভারতের সুরাট, মাদ্রাজ এবং কলকাতায় বাণিজ্য ঘাঁটি স্থাপন করে। এই তিনটি জায়গাই ছিলো ব্রিটিশদের প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র। এখান থেকেই ব্রিটিশরা তুলা, কাপড়, মসলা ইত্যাদির ব্যবসা পরিচালনা করত। প্রথমদিকে ব্রিটিশদের প্রধান আগ্রহ ছিল এদেশের মসলা। কারণ তখন তো ইউরোপে কোন ফ্রিজ ছিলো না। তাই খাদ্য সংরক্ষণের জন্য মশলা ছিলো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বিশেষ করে লবঙ্গ। লবঙ্গকে তখন সোনার বিপরীতে ওজন করা হত। তো, বুঝতেই পারছেন লবঙ্গ কতোটা গুরুত্বপূর্ণ পণ্য ছিল।
মুঘলদের সমসাময়িক অটোমানদের নৌবাহিনী ছিলো খুবই শক্তিশালী। তারা পুরো ভূ-মধ্যসাগর নিয়ন্ত্রণ করত। ইউরোপীয়রা এজন্য অটোমানদের অনুগত থেকেই বাণিজ্য করতে হত অনেকটা। অন্যদিকে সেই সময় ভারতের অর্থনীতি উন্নতির চরম শেখরে ছিল, এতই উন্নত যে, সকল ইউরোপীয় রাজাদের সম্পদ একত্র করলে তৎকালীন ভারতের অর্থনীতির সমান হবে না। আওরঙ্গজেব আলমগীরের (১৬৫৮-১৭০৭) মিলিটারি পাওয়ারসহ একটা দেশ চালাতে যা যা দরকার সবই ছিল অসাধারণ; ইউরোপীয় শক্তির সম্মিলিত শক্তির তুলনায় অনেক বেশি। দুনিয়ার ২৪ শতাংশ সম্পত্তি ছিল ভারতের। ভারত তখন সবচেয়ে উন্নত কটন রপ্তানি করত, সবচেয়ে উন্নত কাপড় তৈরি করত। রোমান আমলের শুরুতে রোমান সিনেটে তখন একটা আলোচিত বিষয় ছিল; তা হল রোমান নারীদের ভারতীয় কাপড়ের অনুরাগী হওয়ার কথা। কিন্তু মুঘল শাসকদের একটাই দুর্বলতা ছিলÑ তা হল তাদের কোনো নৌবাহিনী ছিল না। আর এই দুর্বলতার খবর জেনে ইউরোপীয়রা ভারতবর্ষে আগমন করে এবং ধীরে ধীরে তা গ্রাস করার নানান ফন্দি-ফিকির আঁটতে থাকে। ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধে ক্লাইভ বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে হারানোর পর ২৫০০০০ ব্রিটিশ পাউন্ড উপহার পান নতুন নবাব মীরজাফরের কাছ থেকে।
আপনারা কি কল্পনা করতে পারছেন কি পরিমাণ টাকা ছিল সেটা সেই সময়ে? একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা সবাই ধারণা করতে পারবেন আশাকরি। ১৯৬০ এর দশকে ব্রিটেনে একটা সুন্দর বাড়ির দাম ছিল ৫০০০ পাউন্ড। তাহলে এখন ভাবুন অষ্টাদশ শতকের ২,৫০,০০০ পাউন্ডের মূল্য কতোটা ছিল! একটা যুদ্ধ জিতে রাতারাতি বিলিয়নিয়ার হয়ে যায় ক্লাইড। সে ব্রিটেনে এসে জমি কেনে, বাড়ি কেনে, এমনকি পার্লামেন্টে সিটও কেনে। ১৭৬৪ সালে সংঘটিত বক্সারের যুদ্ধে দ্বিতীয় শাহ আলম, নবাব সুজাউদ্দৌলা এবং মীর কাসিমের সম্মিলিত বাহিনী জেনারেল মনরোর নিকট পরাজিত হয়। এসময় মুঘল সম্রাটকে বাধ্য করে এলাহাবাদ চুক্তি সম্পাদন করতে। ফলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করে। দেওয়ানি লাভের পর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এদেশের আর্থিক খাত থেকে দুর্নীতি করে মিলিয়ন মিলিয়ন পাউন্ড আত্মস্যাৎ করতে শুরু করে।
১৭৬৫ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত ভারত থেকে ব্রিটিশরা ৪৫ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে গেছে। ১৭০০ সালে ভারতবর্ষের জিডিপি ছিল বিশ্বের ২৪ শতাংশ। এই ধারা ১৮০০ সালের দিকে এসেও বিরাজমান ছিল। সে সময় জিডিপির হার কমে দাঁড়ায় ২৩ শতাংশে। কিন্তু ১৯৪৭-এ এসে এর পতন হয়ে থামে মাত্র ৪ শতাংশে। ব্রিটিশরা যখন ভারতবর্ষ ছেড়ে যায় তখন ৯০-শতাংশের অধিক ভারতীয় দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছিল। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সীমাহীন দুর্নীতির কারণে ১৭৭৬ সালে ভারতে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারায়। ১৮৭০ থেকে ১৮৯০ এর দশকের মধ্যে ভারতে দুর্ভিক্ষের আরেকটি সিরিজ আঘাত হানে এবং সেটাতেও লক্ষাধিক মানুষ মারা যায়। ১৯৪৩ সালের ভয়াবহ মন্বন্তরে অস্ট্রেলিয়া থেকে কলকাতায় যে খাবার পাঠানো হয়েছিলো, সেগুলো নাকি ইউরোপীয়দের জন্য প্রয়োজন ছিল এবং অনাহারে ভোগা ভারতীয়দের জন্য সেগুলো ব্যয় করা হয় নি। ফলে এই দুর্ভিক্ষে প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারায়। লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাওয়ার খবর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিলকে জানানো হলে তিনি অবজ্ঞার ছলে বলেন, গান্ধী কখন মারবে? ভারতীয় জনগণকে জংলি মানুষ হিসেবে আখ্যা দিয়ে চার্চিল বলেন, তারা তাদের দোষে মারা যাচ্ছে, কারণ তারা খরগোশের মতো বংশবৃদ্ধি করে।
১৮০০ শতকে ভারত পুরো বিশ্বে পোশাক রপ্তানি করতো। অথচ ১৮৯৬ সালে এসে ভারত নিজ দেশের মানুষেরই কাপড়ের সংকট দূর করতে পারছিল না। ভারতীয়দের জন্য মাত্র ৮ শতাংশ পোশাক ভারতে তৈরি হতো। ১৮০৩ সাল থেকে ১৮৫৭ পর্যন্ত এই ৫৪ বছরের ব্যবধানে ব্রিটিশরা আরো জুলুমবাজ হয়ে ওঠে। ভারতীয়দের ওপর তাদের অত্যাচার বাড়তে থাকে। তারা হিন্দু-মুসলিম উভয়কেই অত্যাচার করছিল। মুসলমানদের ওপর বেশি অত্যাচার হত, কারণ তারা জানত যে, তারা হিন্দুদের হাত থেকে নয় বরং মুসলমানদের হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছে। তাই মুসলিমরা সর্বদাই আমাদের উৎখাত করে তাদের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাইবে।
১৮৫৭ সালে ভারতবর্ষে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ব্রিটিশ কোম্পানি এই বিদ্রোহের অপবাদ একতরফাভাবে মুসলমানদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয় এবং তাদের পূর্ণ প্রতিশোধ গ্রহণ করে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি উন্মাদ হয়ে গণহত্যা চালায়। তারা বিশেষ করে আলিমদের হত্যা করে। ইতিহাস সাক্ষ্যবহন করে যে, দিল্লি থেকে পেশওয়ার পর্যন্ত এমন কোন গাছ ছিলো না যেখানে কোন আলিমকে ঝুলানো হয় নি। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক প্রভাব এবং ক্ষতি পরিমাপ করা যেতে পারে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মাধ্যমে। ভারতীয় ঐতিহাসিকদের মতে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনীর প্রতি ৬ জনে ১ জন ছিল ভারতীয় এবং প্রাণ হারিয়েছে ৫৪,০০০ আর আহত ৬৫,০০০, ৪,০০০ নিখোঁজ অথবা বন্দি হয়েছিল। যুদ্ধের খরচের জন্য ভারতীয় করদাতাদের ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড প্রদান করতে হয়েছিলো, এবং ৭০ মিলিয়ন রাউন্ড গোলাবারুদ, ৬,০০০০০ রাইফেল এবং মেশিনগান আর ৪২ মিলিয়ন পোশাক এবং ১.৩ মিলিয়ন সৈন্য সরবরাহ করেছিল। উপরন্তু, ভারত ১৭৩,০০০০ পশু সরবরাহ করেছিল। আজকের হিসেবে ভারত থেকে নেওয়া সমস্ত কিছুর মোট মূল্য দাঁড়ায় ৪ বিলিয়ন পাউন্ড। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ২.৫ মিলিয়ন ভারতীয় যোগদান করেছিল এবং ব্রিটেনের মোট ৩ বিলিয়ন পাউন্ডের যুদ্ধ ঋণের ১.২৫ বিলিয়ন ভারত থেকে সরবরাহ করেছিল, যা কখনো পরিশোধ করা হয়নি।
লেখক : প্রভাষক, সরকারি ইস্পাহানী ডিগ্রি কলেজ, কেরাণীগঞ্জ, ঢাকা
বাবু/এ.এস