চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন প্যাসিফিক জিন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর। চেম্বারের নতুন কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে এই পদত্যাগের ঘটনা চট্টগ্রাম চেম্বারের ১১৭ বছরের ইতিহাসে প্রথম। তবে পদত্যাগের কারণ হিসেবে ব্যক্তিগত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) চেম্বারের সভাপতি ওমর হাজ্জাজের কাছে পদত্যাগ পত্রটি জমা দেন তানভীর। চট্টগ্রাম চেম্বারে ২০১৯-২০২১ মেয়াদে প্রথম পরিচালক হন সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর। গত মেয়াদে তিনি চট্টগ্রাম চেম্বারের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি।
এছাড়া গত ২৩ আগস্ট ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ নামের একটি ট্রাস্টের সদস্য পদ থেকেও সরে দাঁড়ান। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে প্রশিক্ষণ ও গবেষণানির্ভর এই ট্রাস্টটি তার উদ্যোগে গঠন করা হয়েছিল।
এমন নজিরবিহীন পদত্যাগের কারণ জানতে চাইলে প্যাসিফিক জিন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর বাংলাদেশ বুলেটিনকে বলেন, "আমি আমার পদত্যাগ পত্রে ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করেছি এবং এটাই কারণ৷" শত বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা শুধুই কি ব্যক্তিগত? এই প্রশ্নের জবাবে দেশের অন্যতম শীর্ষ এই পোষাক রপ্তানি কারণ বলেন," হ্যা শুধু এটাই কারণ৷ এমন একটা সেন্সেটিভ বিষয়ে আমার আর কোন স্টেটমেন্ট নেই, পদত্যাগ পত্রে যেটা উল্লেখ করেছি সেটাই কারণ।"
বিগত পাঁচ মেয়াদে চট্টগ্রাম চেম্বারে কোন ভোট গ্রহণ হয়নি। কার্যত সিলেকশনে চেম্বারে পরিচালকরা নির্বাচিত হয়ে আসছে। এই চেম্বারটি চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এমএ লতিফের একক নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়ে আসছে৷ তারই আস্থাভাজন মাহবুবুল আলম রেকর্ড মেয়াদে চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতির দ্বায়িত্ব পালনের পদ চলতি বছর ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)'র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন৷ ফলে চেম্বার সভাপতির শূন্য আসনে বসেন এমপি লতিফের তৃতীয় সন্তান রিলায়েন্স ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী ৩২ বছর বয়সী ওমর হাজ্জাজ সভাপতি করা হয়।
এফবিসিসিআইর নবনির্বাচিত সভাপতি, সদ্য সাবেক চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের দ্বিতীয় সন্তান রাইসা মাহবুবকে করা হয় চট্টগ্রাম চেম্বারের সহ-সভাপতি। দীর্ঘ সময় কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলেও প্রতিটি মেয়াদে পছন্দের সদস্যদের বিভিন্ন পদে স্থান দেয়া হয় ৷ এসব এনিয়ে চেম্বারের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি অনেকেরই অসন্তোষ থাকলেও প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলেননি।
বাবু/জেএম