চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় আবারও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে করেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে পরিচালিত এ অভিযানে উপজেলা জঙ্গল সলিমপুর মৌজার বি এস ১ খাস খতিয়ানের বিএস ৩৬০ ও ৩৬১ দাগের এ জমিতে শত শত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে হার্ট ফাউন্ডেশনের জন্য বরাদ্দকৃত জমি উদ্ধার করা হয়।
এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নু-এম মারমা, মো.রাজীব হোসেন, এস এম এন জামিউল হিকমা, রকিবুল ইসলাম, সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে এম রফিকুল ইসলাম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলাউদ্দিন, সীতাকুণ্ড মডেল থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সীতাকুণ্ড সার্কেল) এসপি এ. বি. এম নায়হানুল বারী, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ। এছাড়া এ অভিযানে শতাধিক পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র্যাব, ফায়ার সার্ভিস টিম, বিদ্যুৎ বিভাগের টিম উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে.এম. রফিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সীতাকুণ্ডের সলিমপুর এলাকার ছিন্নমুল বড়ইতলা ২নং সমাজ এলাকায় অবস্থিত সলিমপুর মৌজার বিএস ১ খাস খতিয়ানের বিএস ৩৬০ ও ৩৬১ নম্বরের জমি অবৈধভাবে দখল করে সেখানে শতাধিক বসতি গড়ে তুলেছে। আমরা ওই দখলদারদের নিয়ম অনুযায়ী খালি করার জন্য বারবার নোটিশ দিয়েছি। কিন্তু তারা সরেনি। এখন যেহেতু বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এসব দখল উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা দখলকৃত স্থাপনা উচ্ছেদ এবং কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে জায়গাটি ঘিরে রেখে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছি। যাতে তারা আর দখল করতে না পারে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা অবৈধ দখলে ছিলেন তাদের জমি পাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করার সুযোগ থাকলে কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবে।
তিনি বলেন, পুরো জঙ্গল সলিমপুরকে ঘিরে সরকার মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। যেটুকু পাহাড় কাটা হয়েছে সেটুকুতেই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। বাকি পাহাড়ের পরিবেশ-প্রতিবেশ অক্ষুণ্ন রাখা হবে।
এদিকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযানের শেষ পর্যায়ে প্রশাসনের ওপর হামলা চালিয়েছে অবৈধ দখলদাররা। এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তিন হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, অভিযান শেষ করে ফেরার পথে হঠাৎ করে শত শত নারী-পুরুষ পাহাড়ের চূড়ায় উঠে পাথর ছুড়তে থাকে। এতে আমি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছি। হঠাৎ পাথর ছোঁড়া আমাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে। আহতদের ভাটিয়ারী বিএসবিএ হাসপাতাল ও সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
একই কথা বলেন সীতাকুণ্ড উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি মো. আলাউদ্দিন। তিনি বলেন, অভিযান শেষ করে ফেরার পথে পাহাড়ের আড়াল থেকে কয়েকজন নারী-পুরুষ পাথর ছুড়তে থাকে। ইউএনও সহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বাবু/জেএম