*নির্যাতনের সত্যতা পেয়েছে কমিটি
*৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ
*১৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন
*প্রতিবেদন উঠবে ছাত্র-শৃঙ্খলা সভায়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের নবীন এক শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের অভিযোগের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। কমিটি ১০ কার্যদিবস পর এ প্রতিবেদন জমা দেন।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন সাইফুল ইসলাম। এতে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানা যায়। তদন্ত কমিটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন এমনটাই জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, আমরা ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলেছি। বিভাগের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও কথা বলেছি। তাতে ভুক্তভোগীর সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে এর সত্যতা আমরা পেয়েছি। তদন্তে উঠে এসেছে ভুক্তভোগী বিভিন্নভাবে র্যাগিংয়ের স্বীকার হয়েছে। তদন্ত কমিটির সবার স্বাক্ষর সংবলিত ১৬ পৃষ্ঠার একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এ ঘটনায় আট জনের সাক্ষাতকার নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, তদন্ত প্রতিবেদনে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের সাক্ষাৎকার এবং তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পরবর্তীতে ছাত্র শৃঙ্খলা সভায় উঠবে। সভা থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে।
উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থী তাহমিন ওসমান তাকে র্যাগিং ও মানসিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দেন। লিখিত অভিযোগে বলা হয়, পরিচয়পর্ব শেখানোর নামে তাকে কয়েক দফায় বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। অভিযোগ উঠে একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মিজানুর ইমন, শুভ, পুলক ও সাকিবের বিরুদ্ধে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর এ ঘটনায় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
বাবু/এ.এস