টানা তিন দিনের ছুটিতে কক্সবাজারে লাখো পর্যটক ভিড় করেছেন। দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভ্রমণপিপাসু মানুষেরা জড়ো হয়েছে কক্সবাজারে। এরই মধ্যে শতভাগ হোটেল বুকিং হয়ে গেছে। তবে হোটেল মালিকদের একাংশ বলছেন- এখানো কিছু রুম খালি আছে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই সমুদ্র সৈকতের কক্সবাজার শহর ও শহরতলী সংলগ্ন ৪ কিলোমিটার বেলাভূমি পর্যটকদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। বিশেষ করে লাবণী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত ২ কিলোমিটার এলাকায় ছিল পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। একই সঙ্গে ইনানী, পাটুয়ারটেক, দরিয়ানগর, সেন্ট মার্টিন, মহেশখালী, বার্মিজ মার্কেট, বৌদ্ধ মন্দিরসহ অন্যান্য পর্যটন স্পটেও ছিল পর্যটকের ভিড়।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মাহিন বলেন, সরকারি ও সপ্তাহিক ছুটি থাকায় পরিবার নিয়ে ঘুরতে কক্সবাজার এসেছি। এখানে এসে প্রথমে রুম খোঁজাখুঁজি করলেও রুম পাইনি। বিস্তা নামক একটি হোটেলে গেলে রুম পাই। তবে ছাড়ের কথা বলতেই খাতা দেখে বলে- সরি স্যার রুম বুকিং। তারপর ছাড় ছাড়া রুম খুঁজলে রুম পাই।
আরেক পর্যটক বলেন, সকালে বাস থেকে নেমেছে। তবে হোটেলে রুম পেয়ে আমাদের এলাকার এক আত্মীয় এখানে এনজিওতে চাকরি করেন তার বাড়িতে উঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সিলেট থেকে আসা এক পর্যটক বলেন, জীবনের প্রথম কক্সবাজারে আসলাম। তবে সমুদ্র সৈকতে এত লোক হবে কল্পনাও করেনি। খাবার থেকে শুরু করে সব কিছুর দাম বাড়তি। হোটেল মালিকরা বলছেন- শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে। তবে হোটেল মালিকদের একাংশ বলছেন- এখানো তাদের কিছু রুম খালি আছে। রেন ভিউ হোটেলের মালিক মুকিম খান বলেন, আমাদের শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে। অনেক পর্যটক অনলাইনে ও অফলাইনে যোগাযোগ করছেন। কিন্তু রুম খালি না থাকায় রুম দিতে পারছি না।
হোটেল হোয়াইট প্যারিসের ম্যানেজার আব্দুল হামিদ বলেন, আমাদের হোটেলে অনেক রুম এখনো খালি আছে। আমরা যতটা আশা করেছিলাম ততটা বুকিং হয়নি।
বাবু/জেএম