মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ ১০ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫
শিপইয়ার্ডে অর্ধগলিত লাশ
সীতাকুণ্ডে স্ক্রেপ জাহাজ মালিক ও থানার ওসিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কামরুজ্জামান রনি, চট্টগ্রাম
প্রকাশ: রবিবার, ১ অক্টোবর, ২০২৩, ৭:২৮ PM আপডেট: ০১.১০.২০২৩ ৭:৩২ PM
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের শিপইয়ার্ডে বিকৃত অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এমভি হানিমধু স্ক্রাপ জাহাজের মালিক এবং সীতাকুণ্ড থানার ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগে মামলা দায়ের। 

রবিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হকের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। 

মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ড থানার মাদামবিবির হাটের বাসিন্দা ইউনুস মিয়ার ছেলে মোঃ রাসেল (২৫) গত ২৬ আগস্ট সীতাকুণ্ড থানাধীন পরিত্যক্ত ববিতা ফিল্ড  ও ভাটিয়ারি স্টিলের মাঝামাঝি পরিত্যক্ত জাহাজ কাটার কাজ করতে যায়৷ ভিকটিম রাসেল মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান স্বপনের স্ক্রাপ জাহাজ কাটিংয়ের কাজ করে বলে এজাহারে বলা হয়েছে। পরদিন ২৭ আগস্ট রাত পর্যন্ত রাসেল বাসায় ফেরেনি। এই বিষয়ে জানতে ভিকটিমের বাবা আসাদুজ্জানা স্বপন ও মামলার ২নং আসামি জাহাজের কাটার ম্যানেজার মুছাদ্দেক মিয়া (৪২) এর সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, কোম্পানীর স্পিডবোট নষ্ট থাকায় যে ফেরিতে খাবারের ব্যবস্থা করা আছে সেই ফেরিতে সাঁতরে যাওয়া ছাড়া আর কোন বিকল্প ছিল না। অন্যান্য শ্রমিকরা সাঁতার কেটে অন্য ফেরিতে খাবার খেতে গেলেও রাসেল সাঁতার কেটে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে মামলার দ্বিতীয় ও তিন নম্বর আসামির সাথে রাসেলের বাক-বিতণ্ডা হয়। জাহাজে থাকা অন্যান্য শ্রমিকরা জানায়, এক পর্যায়ে ভিকটিম রাসেল ও মহিউদ্দিন নামের অন্য আরেক শ্রমিককে সাঁতার কেটে অন্য ফেরিতে যেতে বাধ্য করা হয়। এসময় আশপাশের অনেকে চিৎকার করে বলতে থাকে রাসেল পানিতে পড়ে গেছে৷ এরপর রহস্যজনক ভাবে রাসেলের সাথে থাকা মহিউদ্দিনকে কোম্পানীর অফিসে এনে বসিয়ে রাখা হয়৷

এজাহারে বাদি উল্লেখ করেন, ২৭ আগস্ট ছেলের সন্ধান না পেয়ে রাত ১২ টায় সীতাকুন্ড থানায় জিডি করে গেলে থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ ও সেকেন্ড অফিসার মুকিব হাসান তাকে রাত ৪টা পর্যন্ত বসিয়ে রেখে জিডি কিংবা অভিযোগ কিছুই করা যাবেনা বলে জানিয়ে দেয়। পরদিন ২৮ আগস্ট মামলার বাদি বিষয়টি চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজিকে মৌখিকভাবে জানান। সেদিন রাতে বাদি আবার থানায় গেলে সেকেন্ড অফিসার বিষয়টি ডিআইজিকে জানানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং নানান হুমকি ধমকি দেয়। এসময় মামলার প্রধান আসামী বাদিকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে বলেন, লাশ পেলে আরো টাকা দিব৷ 

গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ১০টায় বাড়বকুন্ড ভোলাইপাড়া  বেড়িবাধ এলাকায় ভিকটিমের লাশ পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। বাদি অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলের লাশ আমাকে না দিয়ে বেওয়ারিস হিসেবে আনজুমান মফিজুল ইসলামকে দিয়ে দাফন করে৷ আসামীরা এই বিষয়ে উচ্চবাক্য না করতে নানা ভয় ভীতি প্রদান করে। 

মামলার আইনজীবী গোলাম মওলা মুরাদ বাংলাদেশ বুলেটিনকে বলেন, আদালত ভিকটিমের পিতার জবানবন্দি গ্রহণের পর আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে থানায় এ সংক্রান্ত কোনো মামলা হয়ে থাকলে তার রিপোর্ট তলব করেছেন।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত