বুধবার ২৫ জুন ২০২৫ ১১ আষাঢ় ১৪৩২
বুধবার ২৫ জুন ২০২৫
শিরিন এবাদি থেকে নার্গিস মোহাম্মদি :
রক্ষণশীল ইরানে মানবাধিকার আন্দোলন
ইমামুল ইসলাম
প্রকাশ: রবিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৩, ৩:৪৪ PM

১৯৭৯ সালে আয়তুল্লাহ খোমেনির ইসলামি বিপ্লবের রক্ষণশীলতা থেকে ইরান ধর্মীয় ক্ষয়িষ্ণুতার দিকে ছুটছে। যদিও রাষ্ট্রের চরিত্রটি এমন যে মানুষের চিন্তার মানসে পেরেক ঢুকিয়ে যুক্তিবাদকে সবসময়ই নিস্তব্ধ করে দেয়। বিপ্লব পরবর্তী সময়ে ইরানের মানুষের মধ্যে তাদের রাজনৈতিক কাঠামো নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা যায়, প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের প্রতি মোহ ভেঙে যায়, চিন্তায় আধুনিকতার আগুন জ্বলতে থাকে। যদিও ইরান চরম ধর্মীয় রক্ষণশীল রাষ্ট্র, যেখানে ধর্মহীনতা, ধর্মত্যাগ, ভিন্ন ধর্ম গ্রহণ ও ক্ষুদ্র ধর্মগোষ্ঠীর প্রতি রাষ্ট্রক্ষমতা সক্রিয়ভাবে শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব পোষণ করে। রাষ্ট্রের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে না ইরানিরা, সর্বদাই ভয়ে ও আতঙ্কে থাকতে হয় তাদের। রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল ও স্পর্শকাতর বিষয়গুলো নিয়ে কোনো পরিসরেই তাদের কথা বলার সুযোগ থাকে না। তবুও ইরানে মানবাধিকারের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে, লিঙ্গসমতার পক্ষে কিছু কিছু লড়াকু সবসময় সোচ্চার থেকেছেন।

গতবছর হিজাববিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়েছিল ইরান। যথাযথভাবে হিজাব না পরার অভিযোগে মাহসা আমিনি নামে ২২ বছরের এক তরুণীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল ইরানের নীতি পুলিশ। এরপর পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয় তার। পুলিশের বিরুদ্ধে মাহসার উপরে অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনাকে সূত্র করেই হিজাববিরোধী আন্দোলন শুরু হয় ইরানের বিভিন্ন প্রান্তে। সেই আন্দোলনে হতাহতের সংখ্যাও অনেক। এবার সেই ইরানের জেলবন্দি নারী অধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদিকে ২০২৩ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। এর আগে ২০০৩ সালেও শিরিন এবাদিকে এই একই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

জেলবন্দি ইরানি নারী অধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদিকে ২০২৩ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে; নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি ৬ অক্টোবর ঘোষণা করেছে। কমিটি বিবৃতিতে জানায়, ইরানে নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই এবং সবার মানবাধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিতের জন্য তার অব্যাহত লড়াইয়ের জন্য তাঁকে এই শীর্ষ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। অসলোতে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান বেরিট রেইস-অ্যান্ডারসন বলেছেন, ইরানে সব আন্দোলন-সংগ্রামে অবিসংবাদিত নেত্রী নার্গিস মোহাম্মদির অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরস্কারটি প্রদান করা হয়েছে। নোবেল কমিটি বলেছে, ইরানে নারীদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই, মানবাধিকার সমুন্নত রাখা ও সবার অধিকার নিশ্চিত করতে সোচ্চার ভূমিকা রাখার জন্য মোহাম্মদি নার্গিস শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন।


এএফপির খবরে জানা যায়, ৫১ বছর বয়সী নার্গিস মোহাম্মদি সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী। নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করা ও মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে কাজ করায় তাঁকে বেশির ভাগ সময় কারাগারে থাকতে হয়েছে। তাঁকে ১৩ বার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাঁচবার দোষী  সাব্যস্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এমনকি শরিয়াহ্ আইন অনুসারে ১৫৪ বার বেত্রাঘাত করা হয়েছে। নার্গিস মোহাম্মদি ইরানের মানবাধিকার কর্মীদের সামনের সারির একজন। তিনি নারী ও শিশু অধিকার রক্ষা ও মৃত্যুদণ্ড বন্ধের জন্য কাজ করেছেন। নার্গিস তেহরানের ইভিন কারাগারে বন্দি রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচার চালানোসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।

ইরানের নার্গিস মোহাম্মদিকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার কড়া সমালোচনা করেছে দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলো নার্গিস ও তাঁর পুরস্কারপ্রাপ্তি নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নার্গিস ‘সন্ত্রাসীগোষ্ঠীকে সহযোগিতা’ করেন। তিনি ‘নিজের দেশে বিশেষ করে ইরানি নারীদের কাছেও অচেনা’। এমন এক নারীকে পুরস্কার দেওয়ায় নোবেল কমিটির সমালোচনা করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

নার্গিস ২০০৩ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী আরেক ইরানি নারী শিরিন এবাদির গড়া মানবাধিকার সংস্থা ডিফেন্ডারস অব হিউম্যান রাইটস সেন্টারের ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে রয়েছেন। নার্গিসের স্বামী একজন রাজনৈতিক অধিকারকর্মী। দুই সন্তান নিয়ে তিনি বিদেশে নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন। এখানে প্রশ্ন থেকে যায়Ñ তিনি অচেনা হলে কেন তাঁকে কারাবন্দি রাখতে হবে?  কেন তাঁর স্বামী দুই সন্তান নিয়ে নির্বাসনে থাকতে হবে?

২০০৩ সালে শিরিন এবাদিকেও শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। শিরিন এবাদীকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষা ও সমুন্নত রাখার জন্য তাঁর অব্যাহত প্রচেষ্টা ও সংগ্রামের জন্য তাঁকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। তিনি বিশেষ করে নারী ও শিশুদের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। আইনজীবী, বিচারক, লেখক ও মানবাধিকারকর্মী হিসাবে তিনি তাঁর দেশ ইরান এবং দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে সারাবিশ্বে দৃঢ়ভাবে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, নারী ও শিশুদের অধিকার নিশ্চিতে সোচ্চার ছিলেন, সাহসী বক্তব্য উচ্চারণ বলেছেন। দক্ষ, পেশাদার, সাহসী সত্তা হিসেবে তিনি তাঁর অবস্থানে দৃঢ় ছিলেন; ইরানের মতো রক্ষণশী ও নারীর জন্য নিরাপত্তাহীন রাষ্ট্রে তাঁর এ সাহসী উচ্চারণ সত্যিই বিরল।

মৌলিক মানবাধিকারের, নারী ও শিশুদের অধিকার নিশ্চিত না করা পর্যন্ত কোনো সমাজই সভ্য কাঠামো ব্যবস্থায় স্থান পাওয়ার যোগ্য নয়। সহিংস এ বিশ্বব্যবস্থায় শিরিন এবাদি সবসময়ই অহিংস নীতি সমর্থন করেছেন। রাষ্ট্রব্যবস্থার মৌলিক কাঠামো ও রাজনৈতিক ক্ষমতা সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক নির্বাচন ও মূল্যবোধের উপর নির্মিত হতে হবে এটাই তাঁর এ দৃষ্টিভঙ্গি। রাষ্ট্রব্যবস্থার দ্বন্দ্ব ও সংকট উত্তরণে সর্বোত্তম পথ হিসেবে জ্ঞান এবং সংলাপকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।

শিরিন এবাদি ও মোহাম্মদি নার্গিস উভয়ই সংগ্রাম করছে বর্ণবাদ, বৈষম্য, বাধ্যতামূলক পর্দা ও মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে; তাঁরা গোষ্ঠী, জাতি ও দেশ নির্বিশেষে বিশ্বের সব নারীদের মুক্তির জন্য লড়াই করছেন। তাঁদের এ লড়াই সারা বিশ্বের নিপীড়িত নারী-পুরুষের জন্য; তাঁদের এ ত্যাগ বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বৈষম্য, অধিকারহীনতা, অমানবিকতার বিরুদ্ধে এক অহর্নিশ সংগ্রামের সাহসী ও সোচ্চার প্রতীক হিসেবে প্রতিফলিত হচ্ছে এবং অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে।

মানবিক মর্যাদা ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখা;  তথা সমগ্র বিশ্বের মানবিক পরিস্থিতির উন্নতির জন্য তাঁরা সংগ্রাম করেছেন; তাঁদের এ সংগ্রাম, ক্ষুধা, দারিদ্র্য, সন্ত্রাস, মৌলবাদ, বৈষম্য ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে; সুন্দর, মানবিক এবং শান্তিপূর্ণ বিশ্বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য। বিশ্বের সব মানুষের জন্য একটি সুন্দর বসতি রেখে যাওয়ার জন্য তাঁদের এ ত্যাগ এবং অবিরাম সংগ্রাম সমগ্র বিশ্বের লড়াকু নারীদের জন্য অনুপ্রেরণা হবে।

একটু ঐতিহাসিক পরম্পরার দিকে দৃষ্টিপাত করলে দেখা যায়Ñ ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনামলে মিশরে হিজাব বিতর্কিত ইস্যুতে রূপ নেয়। ব্রিটিশ কনসাল লর্ড ক্রোমার ঊনিশ শতকে মুসলিম নারীদের জীবনমান উন্নয়নের জন্যে পর্দা ছাড়ার নসিয়ত দেন। এ সময় মিশরে হিজাব নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মতবিরোধ দেখা দেয়। প্রথমত, মিশরের নারীবাদীরা হিজাবের ধারণাকে সম্পূর্ণ বাতিল করে দেন; এদের মধ্যে পর্দাপ্রথা বিরোধী মনোভাব তুঙ্গে ছিল। দ্বিতীয়ত, নারীদের মধ্যে এমন একদল ছিলেন যারা মধ্যম পন্থা অবলম্বন করতেন। নারীরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিবেন তারা হিজাব পরবেন, মাথা এক টুকরো কাপড় দিয়ে আচ্ছাদিত করবেন, নাকি মাথায় কোনো কাপড় থাকবে না। হিজাবি মাথা কিংবা হিজাবহীন মাথাÑ এটা নারীর নিজস্ব ব্যাপার। তৃতীয়ত,  মুসলিম নারীদের একটা শ্রেণি, যারা আবার নিজেদের ইসলামি আন্দোলনের অগ্রযোদ্ধা মনে করেনÑ তাদের কাছে হিজাব বাধ্যতামূলক অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচিত।

হিজাব বা পর্দার বাস্তবতা জীবনচারণের ক্ষেত্রে অনেক বিতর্ক ও বহুমুখী প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আশির দশকে ইরানে রক্ষণশীল মুসলিম পণ্ডিত ও নেতারা নারীদের জনসম্মুখে চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করেন। হিজাব ও  অন্যান্য প্রচলিত মধ্যম ধারার পোশাক জিলবাব ( এমন পোশাক যা গলা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে ফেলে) ও  নিকাব ( চেহারা আবৃত করার এক টুকরো কাপড় যা বাইরে বের হওয়ার সময় নারীরা পরে) নারীদের জীবনে এক জটিল ভূমিকাও রেখেছে। অনেক মুসলিম নারীই এ ধরনের পোশাক তখন এবং এখন ধর্মবিশ্বাসের অনুষঙ্গ হিসেবে মেনে নিয়ে পরিধান করেছে এবং করছে।

ঐতিহাসিকভাবে, হিজাব কিংবা পর্দা অনেক সময় রাজনীতি কিংবা রাজনীতিবিদদের অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে। কেউ ধর্মনিরপেক্ষতার বলয়ে পরিপূর্ণ অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে হিজাব বা পর্দায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আবার কেউ ধর্মীয় খোলসে আবদ্ধ হওয়ার জন্যে হিজাব কিংবা পর্দায় বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে। ইরানে ১৯৩৬ সালে রেজা শাহ পাহলভি এবং তারও কয়েক দশক আগে তুরস্কে মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি গ্রহণ করেন এবং ধর্মীয় পোশাক-পরিচ্ছদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। আসলে হিজাব কতটুকু ধর্মীয় পোশাক তা নিরূপণ জরুরি।  উনিশ শতকের বিশ-ত্রিশ দশকে আফগানিস্তানে রাজা আমানুল্লাহ হিজাব ও পর্দা ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করেন। কিন্তু এর বৈপরীত্য দেখা মিলেÑ ইরানে ১৯৭৯ সালে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ঘোষণায়।  ধর্মের অনুশাসন হিসেবে হিজাব ও পর্দার উপর কঠোর বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয় এবং রেজা শাহের ধর্মনিরপেক্ষতা ও উদারনীতির তীব্র সমালোচনা করা হয়।

ইরানে ১৯৭৯  সালে ইসলামি বিপ্লব ঘটার পর হিজাব নামক পোশাকটি ধর্মীয় মোড়কে ব্যাখ্যা-অপব্যাখ্যা হতে থাকে। পশ্চিমা গণমাধ্যম এমন ব্যাখ্যা প্রদান দেয় ইরানি সমাজব্যবস্থা নারীদের নীচ ও হীন মনে করে; যদিও  নারীরা এক বছর আগে স্বতঃস্ফূর্ত ও স্বেচ্ছায় প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে এ হিজাব পরত।

আয়াতুল্লাহ খোমেনি যখন নারীদের হিজাব পরার বিধান আরোপ করলেন, তখন ইরানের মধ্যমপন্থি নারীবাদীরা এর বিরোধিতা পশ্চিমা নারীবাদী ধারার দিকে ঝুঁকে পড়ে। নারীরা হিজাবকে উপনিবেশবাদ বিরোধী যে অনুষঙ্গ মনে করত, সেখানে খোমেনির জোর-জবরদস্তির নীতি নারীদের আত্মমর্যাদাবোধে আঘাত করেছে। এ সময় থেকে ইরানে নারীবাদের অন্তর্নিহিত চেতনার সঙ্গে রাষ্ট্রের দ্বিমুখী সংঘাত শুরু হয় এবং নারীরা পুরুষতন্ত্র, পুরুষতান্ত্রিক আদিপত্যবাদ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং নিজেদের মুক্তির জন্য লড়াই অব্যাহত রাখে।

বাধ্যতামূলক হিজাবের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মূল বক্তব্য ‘বাধ্যতামূলক’ ব্যাপারটিকে বিদায় করতে বলছেন। যার ইচ্ছে, সে হিজাব পরবে, যার ইচ্ছে নয়, সে পরবে না। এ দাবি নতুন নয়, কিন্তু  ইরানি রাজনীতিকরা মেয়েদের পছন্দ মতো পোশাক পরার অধিকারকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ।

অদূর ভবিষ্যতে ইরানের রাষ্ট্রক্ষমতা ও রক্ষণশীল ধর্মীয় কর্তৃত্ব সমাজ রূপান্তরকে আরো শোচনীয় করে তুলবে। ইরান এ মৌলবাদী কর্তৃত্বের মধ্যে দিয়ে পরিবর্তিত হয়ে ইহজাগতিক, ধর্মনিরপেক্ষ, আধুনিক ও সার্বজনীন মূল্যবোধের দিকে মোড় নিবে। এক্ষেত্রে শিরিন এবাদি, মোহাম্মদি নার্গিসসহ লক্ষ লক্ষ লড়াকুদের আন্দোলন-সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ অব্যাহত রাখতে হবে।

 লেখক : কবি ও সাংবাদিক

বাবু/এ.এস

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত