আজ থেকে এক সপ্তাহ আগে হামাস ইসরায়েলের ওপর আকস্মিক হামলা চালিয়েছিল। হামাসের আক্রমণে পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। এক সপ্তাহ ধরে চলতে থাকা এই পাল্টা-পাল্টি হামলায় শত শত ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন।
শনিবার ১৪ অক্টোবর বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি উত্তেজনার মধ্যে অনেকটা আকস্মিকভাবে গত শনিবার হামাস ইসরায়েলের উপর আক্রমণ শুরু করে।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের যোদ্ধারা গাজা উপত্যকার কাছাকাছি ইসরায়েলি এলাকাগুলোতে প্রবেশ করে। সেই আক্রমণে এক হাজার ৩০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছিল। এছাড়াও ১৫০ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল।
ইসরায়েলের মুহুর্মুহু রকেট হামলা ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়েছে ফিলিস্তিনের বহু ভবন
প্রতিবাদে ইসরায়েল গাজায় বোমা হামলা শুরু করে। ওই পাল্টা আক্রমণে প্রায় দু’হাজার ফিলিস্তিনি মারা যান। এছাড়াও অন্তত তিন লাখ ৩৮ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় বসবাসরত নাগরিকদের জ্বালানি, খাদ্য ও পানি ফুরিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে গাজা সম্পূর্ণ অবরোধ করার ঘোষণা দিয়েছিল ইসরায়েল। ঘোষণায় বলা হয়, ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ শেষ হবে না।
এছাড়াও গাজা সীমান্তে প্রায় তিন লাখ সংরক্ষকসহ কয়েক হাজার ইসরায়েলি সৈন্য জমা করা হয়েছে। উত্তর গাজা উপত্যকায় বসবাসকারী প্রায় ১১ লাখ ফিলিস্তিনিকে সরে যেতে বলা হয়েছে।
জাতিসংঘকে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাশিত স্থল আক্রমণের আগে গাজার উত্তর উপত্যকায় বসবাসরত নাগরিকদের দক্ষিণে সরে যেতে। জাতিসংঘ এই আদেশকে ‘ভয়াবহ’ বলে অভিহিত করে।