গাজীপুর সদর উপজেলা, শ্রীপুর ও কালিয়াকৈর উপজেলায়, বেশ কিছুদিন যাবৎ চলছে ভূমি জরিপের কাজ। চলতি বছরের শুরু হয়েছে ডিজিটাল সার্ভে (বিডিএস) জরিপের কাজ। রেকর্ড ও কাগজপত্র সহ সরেজমিনে পরিদর্শন করে সঠিক মালিকের নামে বিডিএস জরিপ করছেন কর্মকর্তারা। ডিজিটাল সার্ভের কারণে ভূমির পর্চা ও নকশার সকল ভুল সংশোধন হচ্ছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের এমন ডিজিটাল সার্ভের কারণে ভূমি সেবা খাত আগের চেয়ে গতিশীল হচ্ছে। ভোগান্তি কমছে গ্রহীতাদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘিয়া মৌজায়, ভূমি জরিপের কাজ বেগবান হচ্ছে। তবে ডিজিটাল সার্ভের কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে কিছু দালাল চক্রের অসাধু কার্যকলাপ দেখা যায়। এছাড়াও, দালাল চক্র স্বার্থসিদ্ধির করার কারণে নামধারি সাংবাদিকদের দিয়ে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য প্রকাশ করে প্রতিবেদন করিয়েছেন। যাতে গ্রাহকের সেবায় ভোগান্তি করার পাঁয়তারা করছে। অসাধু সাংবাদিকরা ও চক্ররা ভূমি জরিপ অফিসে সুযোগ সুবিধা না পাওয়ার কারণে এমনটাই করছেন বলে দাবি করেন কর্মকর্তারা।
অসাধু চক্রের এমন ব্যবহারে সেবায় বিঘ্ন ঘটছে তাছাড়াও অফিসের কার্যক্রম সাময়িক ব্যাহত হচ্ছে। বাঘিয়া মৌজার কয়েকজন ভূমি মালিক বলেন, অসাধু সাংবাদিক ও কিছু দালাল চক্র আমাদের ভয় দেখিয়ে কাগজপত্র হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তাদের সাথে সমন্বয় না করলে ভূমি জরিপ অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষাৎকার দিতে বলেন। ভূমি জরিপ অফিসে ঘুষ লেনদেন হয় এটা বলতে বাধ্য করেন ভূমি মালিকদের। আমরা কয়েকজন ভূমি মালিকরা তাদের কথায় সাড়া না দিলে আমাদের বিডিএস জরিপ হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন। বাঘিয়া মৌজায় ডিজিটাল সার্ভের কাজ পুনরায় বেগবান করতে আহ্বান জানান ভূমি মালিকরা।
এ বিষয়ে সেটেলমেন্ট অফিস থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশের ডিজিটাল সার্ভের কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করে ভূমি মালিকদের স্বস্তি দেওয়া আমাদের লক্ষ্য। তার ধারাবাহিকতায় গাজীপুর সদর ও বেশিরভাগ মৌজায়, ডিজিটাল সার্ভের কাজ শুরু হয়েছে। তবে অসাধু চক্রের কারণে আমরা নিজেরা বিব্রত এবং সেবা গ্রহীতারা ভয় পাচ্ছেন। সকল ভূমি মালিকদের সঠিক কাগজপত্র যাচাই-বাছাই ক্রমে ডিজিটাল সার্ভের কাজ সম্পূর্ণ করা হবে।