এর আগে শুক্রবার গভীর রাতে পরকিয়া প্রেমের সুবাধে মোবাইল ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে পৌর শহরের পূর্বদাপুনিয়া এলাকায় কুপিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনা ঘটে। নিহত জামাল পৌর শহরের কলাবাগান ছয়গন্ডা মহল্লার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহমুদুল হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, পূর্বদাপুনিয়া এলাকার শরিফের স্ত্রী শামসুন্নাহারের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কলাবাগান ছয়গন্ডার মহল্লার জামাল মিয়ার সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য একাধিকবার সালিশও হয়েছে। তবে, মিমাংসা হয়নি।
ঘটনার দিন রাতে শামসুন্নাহার মোবাইলে জামাল মিয়াকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসেন। জামাল মিয়া বাড়িতে ঢুকতেই শামসুন্নাহারের স্বামী শরিফ মিয়া তাকে জিজ্ঞাসা করে কেন তার বাড়িতে এসেছে। এই নিয়ে দুই জনের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শরিফ মিয়া, তার ছেলে সজিব ও অপর সহযোগী তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
পরে রাত ৩টার দিকে রক্তাক্ত শরীর নিয়ে জামাল মিয়া কোনমতে নিজ বাসায় এসে ফিরে। পরে তার স্বজনরা তাকে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। শনিবার সকালের দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
ওসি মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শামসুন্নাহারের স্বামী মো. শরিফ মিয়া (৪০), তার ছেলে সজীব মিয়া ও অপর সহযোগী ছেলের বন্ধু মামুন মিয়াকে আটক করা হয়েছে।