গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করছেন বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা। গত সোমবার থেকে টানা চার দিন যাবত বিরোতিহীন চলছে এ আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর)পল্লী বিদুৎ এলাকায় দুইটি মোটরসাইকেল ও কোটি টাকা মূল্যের একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করছে আন্দোলনরত শ্রমিকরা। এছাড়া, মহাসড়কে বেশকিছু গাড়ি ভাঙচুর করেছেন তারা।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টপস্টার, তেলিরচালা, মৌচাক, দোকানপার, সফিপুর, আনসার একাডেমি, হরিণহাঁটি ও চন্দ্রা এলাকায় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে আন্দোলন করেন শ্রমিকরা। এ সময় কোনাবাড়ি থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে আশপাশের অধিকাংশ শিল্প কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। যে সকল প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করেনি, সেসব কারখানা বন্ধ করার জন্য আন্দোলন ও মিছিল চলছে। এ আন্দোলনে কয়েকজন শ্রমিকও আহত হয়।
শ্রমিকরা তাদের মাসিক মজুরি ন্যূনতম ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছেন।
কয়েকজন শ্রমিক বলেন, আমরা দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছি। অথচ অন্য কারখানায় শ্রমিকরা কাজ করবে এটা হতে পারে না। এজন্য সবাইকে নামানোর চেষ্টা করছি আন্দোলনে। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক ফাঁড়ির ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম বলেন, সকালে শ্রমিকরা আন্দেলনে নামে। পরে তারা মৌচাক হয়ে সফিপুর দিয়ে চন্দ্রার দিকে চলে যায়। তবে শ্রমিকদের বিক্ষোভ থামাতে থানা পুলিশ, ফাঁড়ি পুলিশ, শিল্প পুলিশ ও উওরা এপিবিএন পুলিশ কাজ করছে।
কালিয়াকৈর উপজেল নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, একটি জিপ গাড়িতে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা আগুন দিয়েছে। শ্রমিকরা সকাল থেকে তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে। এতে যান চলাচলে ধীরগতি রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা, মহানগর ও শিল্প পুলিশ কাজ করছে।
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |