অসম্ভব সম্ভবের দেশে, মৃত্যুর আগেই মৃত্যুও অসম্ভব নয়। এমনটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির মৃত্যুর আগেই মৃত্যু! এমনটিই হয়েছে কমিটির নতুন সভাপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে।
ভূঞাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত সভাপতি মোঃ মহী উদ্দিনের চাকরি জাতীয় করণের ফলে তাকে অব্যাহতি দিয়ে ২৮ আগস্ট সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ মোল্লাকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়। দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বেই আব্দুস সামাদ মোল্লা অসুস্থ থাকায় গত ৭ অক্টোবর বিকেল ৫ টা ২৪ মিনিটে ঢাকা বিআরবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরের দিন অর্থাৎ ৮ অক্টোবর সকাল ১০টায় ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা বিআরবি হাসপাতালের দেয়া মৃত্যু সনদ অনুযায়ী আব্দুস সামাদ মোল্লা ৭ অক্টোবর বিকেল ৫ টা ২৪ মিনিটে মারা যান। ভূঞাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি সাধারণ সম্পাদক কাজী জহুরুল ইসলামের নেতৃত্বে ৬ অক্টোবর আব্দুস সামাদ মোল্লাকে মৃত দেখিয়ে পরের দিন ৭ অক্টোবর তার জানাজা নামাজের বদলে তড়িঘড়ি করে মোঃ জাফর ইকবাল শাহীনকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির প্রধান কার্যালয়ে একই তারিখে একটি চিঠি দেন। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঐদিনই মোঃ জাফর ইকবাল শাহীনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদ অনুমোদন করে গত ৭ অক্টোবর শূন্যপদ/৭৭/২০২৩ একটি চিঠি দেন। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা জানান, কার্যকরী কমিটির কোন মিটিং না ঢেকে এবং কোন রেজুলেশন ও সিদ্ধান্ত ছাড়াই এককভাবে তিনি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ জানান, জাফর ইকবাল শাহীনের ৮ অক্টোবরের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৯ অক্টোবর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া তিনি অনুমোদনের কপি হোয়াটসঅ্যাপে দিতে চেয়েও দেননি।