শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫ ৬ আষাঢ় ১৪৩২
শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ, মাঠপ্রশাসনে বিএনপি-জামায়াতের ভূত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩, ৮:২৭ PM আপডেট: ৩০.১০.২০২৩ ৮:৩৮ PM
জাতীয় সংসদ নির্বাচন দোরগোড়ায়, অথচ প্রশাসনের নীতি নির্ধারণী বিভিন্ন পর্যায়ে এখনো বসে আছে বিএনপি-জামাতের সাবেক-বর্তমান নেতা-কর্মীসহ সরকারবিরোধী লোকজন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামীলীগের বেশ কয়েজন নেতা বলছেন, উচ্চ-পর্যায়ের কয়েকজন শীর্ষ আমলার ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের ভিত্তিতে বিএনপি-জামায়াতের সাবেক-বর্তমান নেতা-কর্মীসহ সরকারবিরোধীদের দিয়ে মাঠ প্রশাসন সাজানোর গুঞ্জন উঠেছে! ফলে আওয়ামী লীগ নেতাসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে। 

সাবেক একাধিক সচিব এবং আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, যারা একসময় ছাত্রদল বা শিবির করেছে তাদের অনেকেই মাঠপ্রশাসনে নীতি নির্ধারণী দায়িত্ব পালন করছে।

বিশ্বস্ত এবং দ্বায়ীত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড় জেলাপ্রশাসক জহিরুল ইসলাম ১৯৯৬-৯৭ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি সেসময় ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।   

এই তথ্যের সত্যতা পওয়া যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হলের সাবেক সভাপতি, বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক নাফিউল করিম নাফা’র কাছ থেকে। 

নাফিউল করিম নাফা জানান, পঞ্চগড়ের জেলাপ্রশাসক জহিরুল ইসলাম ছাত্র থাকা অবস্থায় ছাত্রদলের সকল কর্মসূচীতে অংশ নিতেন, মিছিল সমাবেশ করতেন। ছাত্রদল তথা বিএনপি'র প্রতি তার সমর্থন এবং দুর্বলতা দীর্ঘদিনের। নাফা বলেন, সেসময়ের জিয়া হলের ছাত্রদলের আরেক কর্মী বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত। 

তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর জেলার কাহারোলে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ওই জেলা প্রশাসকের ভাই জাকিরুল ইসলাম জামায়াতের একজন নেতা বলে অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়া পঞ্চগড়ের বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্রজীবনে জহুরুল ইসলাম যেহেতু ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন, তাই এখন প্রশাসনের কর্মকর্তা হয়েও বিএনপি'র হয়ে কাজ করছেন পঞ্চগড়ে। তিনি বিএনপি'র নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠান এবং কর্মসূচীতে অতিথি করেন এবং তাদের নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকেন বিভিন্নভাবে।

গত ২ সেপ্টেম্বর পঞ্চগড় জেলাপ্রশাসনের আয়োজনে তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপি-নেতাকর্মিদের আমন্ত্রণ জানানোসহ তাদের বিশেষ আসনে বসিয়েছিলেন তিনি। জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগ বিরোধীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই জেলাপ্রশাসকের বিরুদ্ধে। আওয়ামীলীগ সমর্থকদের প্রতি বিরূপাচরণসহ আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে পারেন যেসব নেতা তাদের সাথেও অসহযোগিতামূলক আচরণ করছেন তিনি।

এদিকে সিন্ডিকেটকে মদদ দিয়ে স্থানীয় চা চাষ এবং এই শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্যেও তাকে দায়ী করছেন ক্ষুদ্র চা-চাষিদের অনেকে। 

এসব অভিযোগের বিষয়ে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ এবং দায় অস্বীকার করেন।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত