মা ইলিশ সংরক্ষণে ২২ দিন সব ধরনের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ। উপকূলীয় তেতুলীয় ও বুড়াগৌরাঙ্গ জেলারা তাই মধ্যরাত থেকেই মাছ শিকারের প্রস্তুতি নেবে ।
আজ বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর ) মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে সরকার নির্ধারিত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ।
গত ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের ছয়টি স্থানকে ইলিশের অভয়াশ্রম কেন্দ্র ঘোষণা করে সরকার। এ সময় নদীতে যেকোনো ধরনের মাছ আহরণ,পরিবহন, মজুত, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়।
আজ মধ্যরাত থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। এখন দশমিনার জেলে পল্লীগুলো দীর্ঘ ২২ দিন অলস সময় কাটানোর পর জেলে পাড়ায় আনন্দের ঝলক দেখা যাচ্ছে। তারা রাত ১২টা বাজলেই নদীতে নেমে যাবেন মাছ শিকারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,তেতুলিয়া বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে অভিযান চালিয়ে ২৮ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। এদের কাউকে নিয়মিত, কাউকে মোবাইল কোর্টে সাজা ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ৮ জেলের নৌকা আটক করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার মিটার মিটার কারেন্ট জাল ও মা ইলিশ। তাই মা ইলিশ রক্ষা কর্মসূচি সফল হওয়ায় এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির দাবি কর্তৃপক্ষের।
সদর ইউনিয়নের গুলখালী গ্রামের জেলে কুদ্দুস মিয়া জানান, ২২ দিন মাছ ধরতে পারিনি। এ সময় আমাদের আয়ও বন্ধ ছিল। এতদিন মুদির দোকানে বাজার সদায় পাতি বাকি ও স্থানীয়দের কাছ থেকে ধার-দেনা করে সংসার চালিয়েছি। বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার পর নদীতে গিয়ে আশা করছি ইলিশসহ সব ধরণের বড় বড় মাছ পাবো। মাছ বিক্রি করে ধার-দেনা পরিশোধ করবো এবং আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর আশা আছে
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব তালুকদার বলেন, এবারের অভিযান সফল হয়েছে। তাই ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছি।