সাভারের আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আবারও এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়েছে।
এ সময় দোকানপাট ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। রোববার রাতে আশুলিয়া ইউনিয়নের চাঁনগাও এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী হাসিবুল হাসান অন্তরকে ক্যাম্পাস থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠে আরেক শিক্ষার্থী রাহাত ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শুক্রবার রাতে সাভারের বিরুলিয়ার আক্রান বাজার এলাকায় দেড় শতাধিক দোকান-পাট ভাঙচুর ও লুটপাট করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার বিকেলে আশুলিয়ার চাঁনগাও এলাকায় স্থানীয়রা আলোচনার জন্য জড়ো হন। এ খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাড়ে ৭টার দিকে লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুই শতাধিক দোকান-পাট ও ঘর-বাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় তারা দোকান থেকে টাকা ও মূল্যবান মালামাল লুটে করেন বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা।
এছাড়াও সংঘর্ষের সময় আগুনে একটি দোকান পুড়িয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ২ ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে খবর পেয়ে সাভার ও আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ভিসি ড. লুৎফর রহমান বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছে। সে আমাদের পরিবারেরই সদস্য। আমরা অত্যন্ত মর্মাহত। এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়েছেন। তাদের দাবি নিয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমাদের আয়ত্তের মধ্যে সব দাবি আমরা মেনে নিয়েছি।
সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যার এ সময় পূর্ব বিরোধের জেরে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী হাসিবুল হাসান অন্তরকে অপহরণের পর লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে যায় প্রতিপক্ষ।
পরে তাকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার শারীরিক অবস্থা উন্নতি না হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২ নভেম্বর তিনি মারা যায়। এ হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি রাহাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।