অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে হামলা তীব্র করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। ইসরায়েলি হামলায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে পুরো উপত্যকা। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় প্রতিদিন শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ হাজারে।
সোমবার গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, রোববার রাতভর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় উপত্যকায় নতুন করে ২০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। এর ফলে ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৯২২ জনে পৌঁছেছে।
চার সপ্তাহের বেশি সময় চলমান এই যুদ্ধের অবসানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতা ও আন্তর্জাতিক সংস্থা আহ্বান জানালেও তাতে কর্ণপাত করছে না ইসরায়েল। গত ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েলে হামলার পর শুরু হওয়া এই যুদ্ধে ইসরায়েলের প্রধান লক্ষ্য উপত্যকা থেকে হামাসকে নির্মুল করা বলে ঘোষণা দিয়েছেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। চলমান এই যুদ্ধে ইসরায়েলে অন্তত ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের স্থল বাহিনী গাজা উপত্যকাকে দুই ভাগে বিভক্ত করে হামলা পরিচালনা করছে। গাজা নগরীকে চার দিক থেকে ঘিরে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র থেকে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েল উপত্যকার উত্তরাঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের দক্ষিণের দিকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরও সেখানে ৪ লাখের বেশি বেসামরিক ফিলিস্তিনি নাগরিক রয়েছেন।
সোমবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে আঙ্কারায় পৌঁছেছেন তিনি। এ সময় তুরস্কের ফিলিস্তিনপন্থী জনগণের বিক্ষোভের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের হত্যায় যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করছে অভিযোগ করে বিক্ষোভ করেছেন তুরস্কের হাজার হাজার মানুষ। তারা অবিলম্বে গাজায় শর্তহীন যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান।