কক্সবাজারের উখিয়ায় চলতি মৌসুমে আমন ধান চাষে নতুন স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা। উখিয়া উপজেলা জুড়ে বিস্তীর্ণ সবুজের সমারোহ। বাতাসে আমন ধানের সবুজ ঢেউ কৃষকদের মন ভরিয়ে দিচ্ছে। ঢেউয়ের মতো খেলে যাচ্ছে ধান গাছের সবুজপাতা ও কাঁচা শীষ।
দু'চোখ মেলে তাকালে দিগন্তজুড়ে সবুজের সমারোহে সোনালী ধানের শীষ দোল খাচ্ছে বাতাসে। পাকা সোনালী ধানের আভায় স্বপ্ন দেখছে কৃষক। ধানের ভালো ফলনের ভারে ধানের শীষ নুয়ে পড়েছে মাটির দিকে।
দিন যতই যাচ্ছে ধানের রূপ ততই বদলে যাচ্ছে। ধান কাটা শুরু হয়েছে। আর এই অঞ্চলের কৃষক প্রস্তুতি নিচ্ছেন নবান্ন উৎসবের। সরেজমিনে দেখা যায়, যেসব ক্ষেতের ধান কাটার জন্য উপযুক্ত হয়েছে, সেসব জমিতে শ্রমিক নিয়ে ধান কেটে তা মাঠে শুকানোর জন্য ফেলে রেখেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার জানিয়েছে, চলতি আমন মৌসুমে ৯ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করেছেন উখিয়ার কৃষক আর ধান উৎপাদনে নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন
উপজেলার ০৫ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সঠিক পরিচর্যা ও রোগবালাই কম হওয়ার চলতি আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
শুকানো হলে সেগুলো আঁটি বেঁধে গৃহস্থের গোলায় তুলতে সেগুলো মাড়াই করছেন। এবার সন্তোষজনক ফলন পাবেন বলে কৃষকদের আশা।
উপজেলার রন্তাপালং ইউনিয়নের কৃষক নুরুল আলম জানান, পাঁচ বিঘা জমিতে ধান আবাদ করেছেন। ফলন খুব ভালো হয়েছে। কিছু ধান কেটে বাড়িতে এনেছেন।
কাটা থেকে মাড়াই পর্যন্ত শ্রমিকরা এক বিঘা (৩৩ শতক) প্রতি নিচ্ছেন ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার ২০০ টাকা। নতুন আমন ধান এক হাজার ২০০ টাকা মণ দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নিজাম উদ্দিন বলেন, অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অবশেষে আমন ধানে পাকন ধরেছে। এবার ধান গোলায় ভরা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই । ভালো ফলন পেতে মাঠ পর্যায়ে আমি ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও পরামর্শ দিয়েছি। এতে চলতি রোপা আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে যা ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করছি।