ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দফায় দফায় শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলোয়ারদের মাঝে ৪ দফায় মারামারি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই পক্ষের অন্তত ১২ জন শিক্ষার্থী। আহত ৫ জনকে শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ক্রিকেট খেলোয়ার তূর্য ও ফুটবল খেলোয়ার ব্রিজন কৃষ্ণ রায়কে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়ার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে একটি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। খেলা চলাকালীন সময়ে পাশেই একদল শিক্ষার্থী ক্রিকেট খেলছিলেন। এসময় বিকেল ৫ ঘটিকার দিকে ফুটবল মাঠে ক্রিকেট খেলোয়ার রাখতে মানা করায় দুই পক্ষের মাঝে কথা-কাটাকাটি এবং হাতাহাতি হয়। পরে ক্রিকেট খেলোয়াররা ব্যাট ও স্ট্যাম্প নিয়ে ফুটবল খোলেয়ারদের উপর হামলা করলে দুইপক্ষের মাঝে আবারও মারামারি হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে দুই পক্ষের মাঝে বাঁশ, লাঠি ও স্ট্যাম্প নিয়ে আবারও মারামারি ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর আহত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র নেওয়া হলে। চিকিৎসা কেন্দ্রে দুই গ্রুপ আবারও হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকা ফুটবল খেলোয়ার ব্রিজন কৃষ্ণ রায়ের উপর ক্রিকেট খেলোয়ার ও তার অনুসারীরা হামলা চালায়।
এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি ঠান্ডা করা হয়। এছাড়াও পরিস্থিতি ঠান্ডা করতে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দেখা যায়।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষের আহত শিক্ষার্থীরা হচ্ছেন, তুর্য খান (মার্কেটিং), জিয়ন সরকার (ইসলামের ইতিহাস), কবির হোসাইন (ইসলামের ইতিহাস) বিজন রয়(ল এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট), জাকির হোসেন (ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং), সাফি (মার্কেটিং), সিয়াম (মার্কেটিং), মেজবাহ ( আরবি ভাষা ও সাহিত্য) সহ কয়েকজন ।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহাদাত হোসেন আজাদ বলেন, এ ঘটনার পর আমরা পুলিশ পাঠিয়েছিলাম এবং আবাসিক হল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননূর যায়েদ বলেন, ' প্রক্টরের ফোন পেয়ে আমরা মেডিকেলে গিয়েছিলাম এবং পরিস্থিতি ঠান্ডা রাখতে পুলিশ সদস্যরা কাজ করেছে। শঙ্কাযুক্ত জায়গাগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের চিকিৎসক ডা. খুরশিদা জাহান বলেন, মেডিকেলে পাঁচজন এসেছিল। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাহিরে পাঠানো হয়েছে।