শনিবার ৫ জুলাই ২০২৫ ২১ আষাঢ় ১৪৩২
শনিবার ৫ জুলাই ২০২৫
কসবা-আখাউড়ায় নৌকার মাঝি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩, ১:৩৫ PM
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ কসবা-আখাউড়া আসনে নৌকার মাঝি হিসেবে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেও টিকিট না পাওয়া অন্য প্রার্থীরা বলছে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে তাদের কর্মী সমর্থকদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিবেন। 

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে এরআগে এ আসনে পরপর দুই বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃতীয় বারের মতো নৌকার মাঝি হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন তিনি।

আনিসুল হক পরপর দুই বার আইনমন্ত্রী হয়ে এলাকায় বহু মানুষের কর্ম সংস্থান সৃষ্টি, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, স্কুল-কলেজ, সরকারি বেসরকারি অবকাঠামোসহ সংসদীয় আসনে ব্যাপক উন্নয়ন করেন। সেইসাথে দল-মত নির্বিশেষে নিজেকে পরিণত করেছেন আস্থা-ভরসার প্রতীকে। এবং প্রতিষ্ঠিত করেছেন দুই উপজেলার সাধারণ মানুষের অভিভাবক হিসেবে। তার হাত ধরেই কসবা ও আখাউড়ায় অভাবনীয় উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। 

দলকে নিজস্ব ধারায় সুসংগঠিত করেছেন। এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ডে আওয়ামী লীগের ভোট বৃদ্ধি পাওয়ায় এবারও তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হবেন বলে মনে করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।

অন্যদিকে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত সাবেক দুইবারের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহ-আলম বাংলাদেশ বুলেটিনকে বলেন, দলীয় মনোনয়ন পাইনি কিন্তু আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবো কি না বিষয়টি ভাবতেছি।

দলীয় মনোনয়ন না পাওয়া শ্যামল কুমার রায় বাংলাদেশ বুলেটিনকে বলেন, আমার হয়ে যারা এলাকায় কাজ করেছে, আমার কর্মী সমর্থকদের সাথে মিটিং আছে, মিটিংয়ের পরে আমি সিদ্ধান্ত নিবো।

আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করা এ কে এম বদিউল আলমের মোবাইলে কল দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।

শ্যামল কুমার রায়ের সমর্থক মোবার হোসেন বলেন, শ্যামলদা যে সিদ্ধান্ত নেয় আমার সেটাইকেই সমর্থন করবো।আমরা দাদার সিদ্ধান্তের অপেক্ষা আছি।

আনিসুল হক সম্পর্কে আখাউড়া কলেজ পাড়ার মোঃ শাহ জাহান মিয়া, ছোট কুড়িপাইকা গ্রামের মিন্টু মিয়াসহ সাধারণ মানুষ বলছেন, আনিসুল হকের কাছ থেকে তাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া শতভাগ বিদ্যুতায়ন, প্রায় ২ হাজার দুইশত শিক্ষিত বেকার ছেলেমেয়ের চাকরি। সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন নির্মাণ, একাধিক স্কুল-কলেজ জাতীয়করণ। কসবা-আখাউড়া থানায় দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণসহ আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ।

আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোঃ তাকজিল খলিফা কাজল প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, কসবা-আখাউড়ায় সরেজমিন না এলে কেউ বিশ্বাস করতে পারবেন না যে, উনার (আনিসুল হকের) জনপ্রিয়তা কতটা। এমন কোনো উন্নয়নকাজ তিনি বাকি রাখেননি যা পরবর্তীতে অন্য কেউ করার আশ্বাস দিয়ে এ আসনে এমপি নির্বাচিত হওয়ার মানসিকতা পোষণ করবেন। তিনি এমন উন্নয়ন আর সেবা দিয়েছেন যা আমরা আমৃত্যু স্মরণে রাখব।

তৃতীয় বারের মতো নৗকার মাঝি হিসেবে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায়  এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কসবা-আখাউড়ার দলীয় নেতাকর্মী সমর্থনসহ সাধারণ জনগন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত