কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন দ্বিতীয় দিনেও যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন ঢাকাগামী।
২য় দিনের মতো দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে আইকনিক রেলস্টেশন থেকে প্রায় ১ হাজার ৩০ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা করে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’। এ তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার গোলাম রব্বানী।
সরেজমিনে দেখা যায়, শনিবার সকালে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের গেট খুলে দেওয়া হয়। স্বপ্নের ট্রেনে চড়ে গন্তব্যস্থলে যাওয়ার জন্য সকাল থেকেই বিপুল সংখ্যক যাত্রী স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন। ট্রেনের টিকিট পেয়ে উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা।
ঢাকার টিকিট করা যাত্রী ইমামুল ইসলাম বলেন, প্রথম দিনের টিকিট না পেলেও ২য় দিনের পেয়ে আমি অনেক খুশি। আজকের দিনটা আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
মশিউর অর্ণব নামক আরেক যাত্রী বলেন, আমি অনেক দেশে ভ্রমণ করেছি। কিন্তু এই রকম স্টেশন খুব কম দেখেছি। স্টেশন দেখে মন জুড়িয়ে যায়।
কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার গোলাম রব্বানী বলেন, আজ ২য় দিনের মত যাত্রী নিয়ে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন থেকে হাজার জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা করবে।
নতুন এই ট্রেনে মোট ১৬টি কোচ রয়েছে বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে। আসন আছে ৭৮০টি। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯৫ টাকা। এসি চেয়ারের ভাড়া ১ হাজার ৩২৫ টাকা, এসি সিটের ভাড়া ১ হাজার ৫৯০ টাকা এবং এসি বার্থের ভাড়া (ঘুমিয়ে যাওয়ার আসন) ২ হাজার ৩৮০ টাকা। অপরদিকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া ২০৫ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণির ৩৮৬ টাকা, এসি সিটের ৪৬৬ এবং এসি বার্থের ভাড়া ৬৯৬ টাকা।