দলীয় শৃংখলা পরিপন্থি বক্তব্য দেয়ার প্রতিবাদে বরিশাল মহানগর সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ এ কে এম জাহাঙ্গিরের অপসারন চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশে করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকমীরা।
শনিবার বেলা ১১টায় বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে টাউন হল পযন্ত শত শত নেতাকমীর উপস্থিতিতে এ কমসুচী অনুস্ঠিত হয়, নেতৃবৃন্দ এসময় মহানগর কমিটি ভেঙ্গে দেয়ার দাবী জানান।
সমাবেশ চলাকালে নেতাকমীরা বিভিন্ন প্লাকার্ড নিয়ে শ্লোগান দেয়। মিছিলে 'জাহাঙ্গিরের চামড়া তুলে নেব আমরা, নগর কমিটি ভেঙ্গে দাও' - এমন নানা শ্লোগান শোনা গেছে।
বিক্ষোভ সমাবেশের বক্তব্যে মহানগর আলীগের সহ সভাপতি অ্যাড. আফজালুল করিম বলেন, জাহাঙ্গির ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনকে বিতর্কিত করেছে। গেল সিাট নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে দলীয়শৃংখলা পরিপন্থি বক্তব্য দিয়েছেন। জাহাঙ্গিরের নেতৃত্বে মহানগর কমিটি থাকলে আসন্ন জাতীয় নিবাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তিনি বলেন, আপনাদের চ্যালেঞ্জ গ্রহন করলাম। প্রধানমন্ত্রীর মনোনিত নৌকার প্রাথীর সঙ্গে পাড়লে জিততে আসেন। তিনি অবিলম্বে মহানগর কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে অবলিম্বে সিটি মেয়র খোকনের নেতৃত্বে নতুন মহানগর কমিটি গঠনের দাবী জানান।
মহানগর আলীগের সদস্য অ্যাডঃ আনিচ উদ্দিন শহীদ তার বক্তব্যে বলেন, জাহাঙ্গির জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হয়ে ছেলের বিয়েতে পরিষদ থেকে টাকা ব্যায় করেছেন। তিনি বাস মালিক সমিতির সভাপতি হয়ে লুটপাট করেছেন। তার মত নৌকার বিরুদ্ধাচারন ব্যাক্তির হাতে মহানগর আ'লীগ নিরাপদ নয়।
মহানগর যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন বলেন, ১২ জুনের সিটি নিবাচন হয়েছিল ইভিএম পদ্ধতিতে। সেই নির্বাচন সম্পকে নগর সভাপতি জাহাঙ্গির প্রশ্ন তুলেছেন। জাতীয় নিবাচনেও প্রশাসন দিয়ে ব্যালট ভরার কথা বলে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবস্থন নিয়েছে। বরিশালের হাজার হাজার নেতাকমী জাহাঙ্গিরের অপসারন এবং মহানগর কমিটি ভেঙ্গে দেয়ার দাবীতে আজ সোচ্চার হয়ে উঠেছেন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন শহর আলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল হক হারুন, অ্যাডঃ লস্কর নুরুল হক, মহানগর যুবলীগের আহবায়ক নিজামুল ইসলাম নিজাম, শ্রমিকলীগ নেতা শাজাহান হাওলাদার, কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা অসীম দেওয়ান, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন, মঈন তুষার প্রমূখ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহীদ মিনার থেকে সদর রোড হয়ে অশ্বিনী কুমার হলের সামনে শেষ হয়।