ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সংগঠন “আলোর অনির্বাণ”-এর উদ্যোগে ৫ম থেকে ১০ম শ্রেণির এবং ২০২৩ এস.এসসি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে ট্যালেন্ট হান্ট বই খুলে মেধাবৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (২রা ডিসেম্বর) সকাল ১১ঘটিকায় উচাখিলা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় (স্কুল এন্ড কলেজ)- এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, আলোর অনির্বাণ সংগঠনের বই খুলে এ পরীক্ষার জন্যে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা ছাড়াও নান্দাইল,গৌরিপুর,ময়মনসিংহ সদর,ত্রিশাল, জামালপুর এমনকি ঢাকা গাজীপুর থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫ম থেকে ১০ম শেণির এবং এস.এস সি ২০২৩ এর পরীক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। যেখানে মোট ১৮২৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। ব্যতিক্রমী এ পরীক্ষাটির যাত্রা শুরু হয় ২০১৯ সালে। তখন ৪টি ইউনিয়নের ৪শ ৫০ জন শিক্ষার্থী বই খুলে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। পরবর্তীতে ২০২১ সালে উপজেলার ১৯টি প্রতিষ্ঠানের ৬শ ৮৪জন শিক্ষার্থী এবং ২০২২ সালে ১২৮২ জন শিক্ষার্থী বই খুলে এ পরীক্ষায় অংশ নেয়। প্রতি শ্রেণীতে মেধা তালিকায় প্রথম ৫ জনের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার ও সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকারীর জন্য রয়েছে বিশেষ মেধাবৃত্তি ও পুরস্কার । এবার মোট ১ লক্ষ টাকার মেধাবৃত্তি পুরস্কার হিসেবে প্রদান করা হবে।
২৭টি কক্ষে পরিদর্শকের দায়িত্বে পালন করেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। এসময় পরীক্ষা হল পরিদর্শন করেন উচাখিলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুল হালিম এবং সংগঠনটির দাতা সদস্য পারফেক্ট ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এর সিইও মনিরুজ্জামান মানিক, আলীনগর কারিগরি কলেজের প্রভাষক নীলকন্ঠ আইচ মজুমদার,উপজেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক সারোয়ার জাহান স্বপন,বিশ্বেশ্বরী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হারিছ উদ্দিন,আলমগীর মুনসুর (মিন্টু) মেমোরিয়াল কলেজের প্রভাষক রাইসুল ইসলাম রাসেল প্রমুখ।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সাখুয়া আদর্শ বিদ্যানিকেতনের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার বলেন, এ ধরনের পরীক্ষা আমাদের খুব কাজে আসবে এবং মানসিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। এ ধরনের উদ্যোগ প্রশংসার দাবী রাখে।
নান্দাইল থেকে আসা ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর অভিভাবক অরবিন্দ পাল বলেন,এ ধরণের ব্যতিক্রমী কার্যক্রমে আমি সত্যিই অভীভূত।
এ ধরণের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত জীবনের ভীত শক্ত হবে।
সংগঠনের মুখপাত্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকর্মে স্নাতকোত্তর শেষ করা শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল জানান, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ১৩০ জন সদস্য রয়েছে আমাদের সংগঠনে। যার উদ্যোগে এ বছর ৪র্থ বার মেধা বিকাশে সহায়ক ব্যতিক্রমী এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া করোনা কালে সংগঠনটির উদ্যোগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্কুল ল্যাবে উৎপাদন , সুরক্ষা ও খাদ্য সামগ্রী উপজেলার বাসিন্দাদের মাঝে বিতরণ করা হয়। এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ধরে রাখার জন্য সকলের সহযোগিতাও কামনা করেন তারা।
উল্লেখ্য যে,পরবর্তীতে "আলোর অনির্বাণ" ফেসবুক পেইজ ও স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান ফলাফল প্রকাশ ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে। যে অনুষ্ঠানে ঝাঁক ঝমকপুর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অতিথিদের উপস্থিতিতে এ মেধা বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ,শিক্ষাবৃত্তি ও পুরষ্কার বিতরণ করা হবে।