গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে এসএসসি পরিক্ষার্থী সুমন মিয়া (১৬) ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাঘারচর গ্রামের রানা মিয়ার ছেলে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক জাকিরুল ইসলাম বিষক্রিয়ায় ওই স্কুলছাত্রের মৃত্যু বিষয়টি নিশ্জিচত করেন।
নিহত সুমন মিয়া স্থানীয় হাজী ছোট কলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলো। সে ২০২৪ সালে ওই স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। সে তার বাবার সাথে শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের মাওনা গ্রামের খান বাড়ি এলাকায় বসবাস করতো। তার বাবা খান বাড়ি মোড়ে মুদি ব্যবসায়ী।
নিহত স্কুল ছাত্রের বাবা রানা মিয়া বলেন, শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) বিকেলে আমি দোকানে ছিলাম। হঠাৎ সুমন অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়ে বাসায় গিয়ে তার মুখ থেকে লালা বের হতে দেখি। এ সময় সুমন ঘরে একা ছিল। তার ঘরে থাকা ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে সুমন অসুস্থ হয়ে পড়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ক্লিনিকের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। শনিবার (২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাজী ছোট কলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক দিলশাদ ইসলাম জানান, সে চলতি বছর এ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি টেস্ট (নির্বাচনী) পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছে। সে বিদ্যালয়ে প্রতিদিনই কোচিং করতে আসে। আজ শনিবার সকালে আমার সহকর্মী এক শিক্ষক ফোন করে জানায় সুমন হাসপাতালে মারা গেছে। তিনি আরো জানান, সে খুব ভালো ছিলো। আমার জানা মতে তাঁর কোনো মেয়ের সাথে প্রেম ছিল না। শুনেছি, গতরাত থেকে ছেলেটিকে নিয়ে তাঁর পরিবার হাসপাতালে ছুটাছুটি করেছে। হঠাৎ করে শিক্ষার্থীটা কেন মারা গেছে তা জানা যায়নি। কী কারণে সুমন বিষপান করল এ বিষয়ে আমরা কিছু জানতে পারি নাই।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক জাকিরুল ইসলাম বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে শিক্ষাথীর মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল ফজল মো: নাসিম জানান, বিষয়টি শুনেছি। একজন উপ-পরিদর্শককে (এসআই) পাঠিয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।